Advertisement
E-Paper

জাতীয় সড়কে ‘রহস্যজনক মৃত্যু’! নিখোঁজ সঙ্গী, থানায় খুনের অভিযোগ করল মৃতের পরিবার

পরিবার সূত্রে খবর, সকালে ব্যবসার কিছু মালপত্রের জন্য কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁর সঙ্গে এক মোটরভ্যানের চালক ছিলেন। বাড়ি থেকে বেরোনোর কয়েক মিনিট পর ওই চালক ফোন করে যুবকের মৃত্যুসংবাদ দেন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ১৪:৩৯

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জাতীয় সড়কে থেকে ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। বুধবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য নদিয়ার চাকদহ থানা এলাকায়। খুনের অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার।

বুধবার ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে নাজ়ির শেখ নামে ৪৫ বছরের এক ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। নাজ়ির চাকদহ থানা এলাকারই বাসিন্দা। একটি মুদিখানার দোকান চালান তিনি। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে যুবকের। তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরে খুনের মামলা রুজু হয়েছে বলে খবর।

পরিবার সূত্রে খবর, সকালে নাজ়ির ব্যবসার কিছু মালপত্রের জন্য কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে এক মোটরভ্যানের চালক ছিলেন। বাড়ি থেকে বেরোনোর কয়েক মিনিট পর ওই চালক নাজ়িরের বাড়িতে ফোন করে জানান, লরির সঙ্গে তাঁর ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নাজ়িরের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিমুরালি জাতীয় সড়কে নাজ়িরের রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়। তাঁকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের মর্গে।

কিন্তু মৃতের ভাই আব্দুল শেখ বলেন, ‘‘পুলিশ বলছে দুর্ঘটনা। কিন্তু দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই মোটরভ্যানটি কোথায়? সংঘর্ষ হলে তো চালকও আহত হতেন। কিন্তু তিনি নিখোঁজ!’’ পরিবারের দাবি, সেই যুবকের ফোন বন্ধ। তা ছাড়া লরি ও মোটরভ্যানের সংঘর্ষের কোনও চিহ্নও পাওয়া যায়নি। নাজ়িরের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের প্রশ্ন, ‘‘আমার স্বামীর গলায় আঁচড়ের দাগ। এটা কি দুর্ঘটনার চিহ্ন? না কি ওকে খুন করে সড়কে ফেলা হয়েছে?’’ এ নিয়ে চাকদহ থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন তাঁরা। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশও স্বীকার করেছে, ওই ভ্যানচালকের অনুপস্থিতি এবং দুর্ঘটনার চিহ্ন না-পাওয়া রহস্য বাড়াচ্ছে।

ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকাল ৮টার দিকে জাতীয় সড়কের ধারে রক্তের দাগ দেখেন তাঁরা। তার পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, ‘‘গত কয়েক মাসে এখানে তিনটি দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু গাড়ি না পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম।’’ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সমীরণ মণ্ডল দাবি করেছেন, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পরীক্ষা করে দ্রুত তদন্ত শেষ করুক পুলিশ।

mystery death Nadia West Bengal Police Death Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy