Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Swasthya Sathi

মুর্শিদাবাদের ‘পাইলট’ প্রকল্প চালু গোটা রাজ্যে, স্বাস্থ্যসাথীর খরচ কমাতে কড়া স্বাস্থ্য দফতর

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অস্থিরোগের চিকিৎসা নিয়ে রাজ্য জুড়েই কড়াকড়ির পথে হাঁটছে স্বাস্থ্য ভবন। মুর্শিদাবাদ জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে চালু ব্যবস্থা এ বার পাকাপাকি ভাবে কার্যকর হচ্ছে গোটা রাজ্যে।

—ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:১৯
Share: Save:

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অস্থিরোগের চিকিৎসা নিয়ে রাজ্য জুড়েই কড়াকড়ির পথে হাঁটছে স্বাস্থ্য ভবন। মুর্শিদাবাদ জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে চালু ব্যবস্থা এ বার পাকাপাকি ভাবে কার্যকর হচ্ছে গোটা রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের চিঠি ছাড়া কোনও বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে অস্থিরোগের চিকিৎসা করা যাবে না। আর যদি রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতেই হয়, তা হলে কী ‘রেফার’ করা হচ্ছে, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে তার কারণ উল্লেখ করতে হবে ‘রেফারেল লেটারে’।

তবে কিছু ছাড়ও দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। পথ দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় অবশ্য এই বিধিনিষেধ থাকছে না। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অপব্যবহার আটকাতে এই নির্দেশিকা বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। নির্দেশ অমান্য হলে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি নাসিংহোম ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থাও নিতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু গত দু’বছরে স্বাস্থ্যকর্তারা দেখেছেন, সরকারি হাসপাতালে অস্থিরোগের চিকিৎসার পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসা করানোর সময়ে রোগী চলে যাচ্ছেন বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে। তাতেই রাশ টানতে গত বছরেই ক়ড়া নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে পাইলট প্রকল্প হিসাবে শুধু মুর্শিদাবাদেই কার্যকর ছিল ওই নির্দেশিকা। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও বাইরে চিকিৎসার খরচ বহন করতে হচ্ছিল সরকারকে। এটা তো ঠিক নয়।’’

মুর্শিদাবাদ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে অর্থোপেডিক সার্জারিগুলি পরীক্ষামূলক ভাবে বিধিনিষেদের আওতায় আনা হয়েছিল। বিধিনিষেধের যথার্থতা অনুধাবন করে গোটা রাজ্যেই তা কার্যকর করা হচ্ছে। এতে করে সারা রাজ্যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অপব্যবহার কমবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Swasthya Sathi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE