আত্মঘাতী কিশোরী নবম শ্রেণির ছাত্রী। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
মায়ের সাজগোজের জিনিস নিয়ে বসেছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী। সেজেগুজে ভিডিয়ো করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করত সে। এ নিয়ে মা বকুনি দিতেই অভিমানে আত্মঘাতী হল ছাত্রী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম ঋতু বাগদী (১৪)। বড়ঞার বাহাদুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
ছোট ছোট ভিডিয়ো (রিল) বানিয়ে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করত ঋতু। সেগুলি বেশ জনপ্রিয়ও হচ্ছিল। তাই বেশি করে ভিডিয়ো বানাচ্ছিল স্কুলপড়ুয়া। তার পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে সমাজমাধ্যম ভিডিয়ো পোস্ট করবে বলে তৈরি হচ্ছিল ঋতু। মায়ের সাজগোজের জিনিস নিয়ে তৈরি হচ্ছিল সে। এটা দেখে মেয়েকে বকুনি দিয়েছিলেন মা।
বকুনি খেয়ে শেষমেশ ভিডিয়ো করা বন্ধ করে দেয় মেয়েটি। মা-ও জলের পাত্র নিয়ে কলে গিয়েছিলেন। তার পরেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় কিশোরী। জল নিয়ে ফিরে এসে কিশোরী মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান মা। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। মেয়েটিকে উদ্ধার করে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় এলাকায় শোকের আবহ। মৃতার মা মেনকা বাগদী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘পড়াশোনার ক্ষতি হবে বলে ওকে ভিডিয়ো করতে নিষেধ করতাম। তার জন্য যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি।’’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy