পাত্রীর বয়স ১৬। নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। পাত্র পেশায় শিক্ষক। বয়স ৩৪ বছর। স্থানীয় সূত্রে নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে ছুটে যায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। একেবারে শেষ মুহূর্তে আটকানো গিয়েছে ওই বিয়ে। গ্রেফতার হলেন স্কুলশিক্ষক পাত্র এবং তাঁর বাবা। পাকড়াও নাবালিকার বাবাও। মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানা এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার ধৃত তিন জনকে বহরমপুর আদালতে হাজির করানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা খবর, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে সাগরপাড়া থানা এলাকার চরকামারি গ্রামে অভিযান চালিয়েছিল তারা। তখন প্রীতিভোজের আসর বসেছে। প্রথমে পাত্র ও পাত্রী কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে খবর নেন পুলিশকর্মীরা। বিয়েবাড়িতে পুলিশ হাজির হওয়ায় ঘাবড়ে গিয়েছিল পাত্র ও কনেপক্ষ।
যদিও প্রথমে দুই পক্ষই অস্বীকার করে যে পাত্রী নাবালিকা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নেন ভুল। শেষে ডোমকলের বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সি নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় পাত্র সোহেল শেখ এবং তাঁর বাবা আবু হোসেনকে। পরে গ্রেপ্তার করা হয় ওই নাবালিকার বাবাকেও। ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে হাজির করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত পাত্র বিহারের একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চাকরি পান তিনি। দেখাশোনার পরে ১৬ বছরের স্কুলছাত্রীকে পছন্দ হয় তাঁর। দুই পরিবার বিয়ে ঠিক করে। তার পরেই এই ঘটনা। স্কুলশিক্ষক হয়ে নাবালিকাকে বিয়ে করতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পুলিশ-প্রশাসন