Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
গরমকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চনমনে বাজার

শেষে ওভারে সপাটে ব্যাট চৈত্র সেলের

স্লগ ওভারে চালিয়ে খেলে হারা ম্যাচ জিতে যাওয়ার নজির আইপিএলে ভুরিভুরি। এ বারের চৈত্র সেল যেন তারই কপি-পেস্ট। হুবহু একই ভাবে চলতি মরশুমের ঝিমিয়ে পড়া চৈত্র সেল হঠাৎ করেই শেষবাজারে জমে উঠল।

ভিড়: হাতে মোটে দু’দিন। শেষ বেলায় কম দামে পছন্দের জিনিস পেতে দোকানে দোকানে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা। খদ্দের সামলাতে নাওয়াখাওয়া ভুলেছেন দোকানদারেরাও। ডোমকলে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

ভিড়: হাতে মোটে দু’দিন। শেষ বেলায় কম দামে পছন্দের জিনিস পেতে দোকানে দোকানে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা। খদ্দের সামলাতে নাওয়াখাওয়া ভুলেছেন দোকানদারেরাও। ডোমকলে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৭
Share: Save:

স্লগ ওভারে চালিয়ে খেলে হারা ম্যাচ জিতে যাওয়ার নজির আইপিএলে ভুরিভুরি। এ বারের চৈত্র সেল যেন তারই কপি-পেস্ট।

হুবহু একই ভাবে চলতি মরশুমের ঝিমিয়ে পড়া চৈত্র সেল হঠাৎ করেই শেষবাজারে জমে উঠল। চৈত্রের শেষ সপ্তাহে গিয়ে ক্রেতাদের যেন মনে পড়েছে সেলের বেলা যে ফুরিয়ে এল।

যদিও চৈত্রমাসের শুরু থেকেই বিভিন্ন শহরের বড় রাস্তার দু’ধারে হরেক কিসিমের পসরা সাজিয়ে বিক্রেতারা প্রতি বছরের মত এ বারও তৈরি ছিলেন। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে না হতে আশপাশের গাঁ-গঞ্জ থেকে কাঁখে কোলে ছেলেপুলে নিয়ে সেলের বাজারে সপরিবারে মহিলা-পুরুষের ভিড়টা প্রথম দিকে চোখেই পড়েনি এ বার। একের পর এক পার হয়ে হয়েছে প্রতীক্ষার মাস পয়লা কিংবা প্রত্যাশার শনি-রবি। কিন্তু কোথায় ক্রেতা? অবস্থা দেখে রীতিমতো কপালে ভাঁজ পড়ে গিয়েছিল মহাজনের কাছে স্বল্পমেয়াদে সুদে টাকা ধার নেওয়া সেল ব্যবসায়ীদের।

সবাই যখন ধরেই নিয়েছেন এ বার সেলের বাজার জমল না, ঠিক তখনই ভিড়েঠাসা রাস্তার ধারে গলদঘর্ম ক্রেতা বিক্রেতার চেনা দরকষাকষিতে জমে উঠল চৈত্র সেলের বাজার। কার্যত চৈত্রের শেষ সাত-দশ দিনেই এ বারের সেলের যা কিছু ব্যবসা হয়েছে, এমনটাই মতো ব্যবসায়ীদের।

বহরমপুরের সেলের বাজার কিন্তু শুরু থেকেই চেনা ছন্দে। উপচে পড়া ভিড়। বিকেলের দিকে মাথার ভিড়ে শহরের পথে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটাচলা দায়। অস্থায়ী দোকানদারদের দখলে শহরের বিভিন্ন ফুটপাথ। ফলে ফুটপাথ দিয়েও হাঁটাচলা করার উপায় নেই।

এই অবস্থায় মাত্রাছাড়া গরম শত্রু হয়ে দেখা দিয়েছে। জানাচ্ছেন কাদাইয়ের ব্যবসায়ী আরতি কর্মকার। আরতিদেবী জানান, বহরমপুরে সেলের বাজার শুরু থেকেই জমে উঠেছে। বিক্রিবাটা ভালই হয়েছে। সেই দিক থেকে দেখলে গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি ভাল হয়েছে। তবে গরমের কারণে অনেকেই দিনের বেলাটা এড়িয়ে যাচ্ছেন। সন্ধ্যার পরে ভিড় উপচে পড়ছে। উল্টে ক্রেতাদের সামলাতে গিয়ে ঘেমেনেয়ে একসা দোকানিরা।

বহরমপুরের ‘ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্তী জানান, গত কয়েক বছর ধরে সেলের বাজারও শহরকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আগে বহরমপুরের সেলের বাজারে গ্রামের মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যেত। এখন গ্রামের মানুষ আসছেন বাজারে, কিন্তু তার সংখ্যা অনেক কম। ফলে দিনে ভাটা থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় ঠেলা যাচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chaitra sale Shopping hot and humid weather
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE