Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
তৈরির দায়িত্ব স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে
100 Days Work

শ্রমিকদের নিখরচায় মাস্ক

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মাস্ক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। ওই মাস্কে ‘জয় বাংলা’ স্টিকার সাঁটা থাকবে।

ব্যস্ততা। নিজস্ব চিত্র

ব্যস্ততা। নিজস্ব চিত্র

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৩৪
Share: Save:

আনলক পর্বে সাধারণের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রাণপণ চেষ্টার মধ্যেই চিকিৎসকরা বারবার করোনার সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক করছেন। দূরত্ববিধি বজায় রাখা এবং মাস্ক পরার ওপর জোর দিচ্ছেন তাঁরা। সংক্রমণ রুখতে বেশ কিছু জায়গায় সরকারি উদ্যোগে নিখরচায় মাস্ক দিচ্ছে প্রশাসন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নিযুক্ত শ্রমিকরাও। যাঁরা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করছেন, তাঁদেরও নিখরচায় মাস্ক বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এ জন্য রাজ্যের হস্তশিল্প উন্নয়ন পর্ষদ ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মাস্ক তৈরির বরাত দিয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মাস্ক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। ওই মাস্কে ‘জয় বাংলা’ স্টিকার সাঁটা থাকবে। প্রতিটি মাস্কের দাম ১০.৪৫ টাকা। দ্রুত মাস্ক তৈরি করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গোষ্ঠীগুলিকে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরা জরুরি। যাঁরা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করছেন তাঁরাও যাতে মাস্ক পরে কাজে যান, তা দেখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, তাঁদের নিখরচায় মাস্ক দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’‘ করোনা সংক্রমণ শুরু হতে মাস্কের চাহিদা বাড়তে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় মাস্কের কালোবাজারিও শুরু হয়েছিল। সেই সময় জেলার বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠী মাস্ক তৈরি করা শুরু করে। যার জেরে মাস্কের কালোবাজারি বন্ধ হয়েছিল। তেমনই মাস্ক তৈরি করে রোজগারের রাস্তাও খুলে গিয়েছিল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। এর আগে জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী তিন লক্ষ ৩৩ হাজার মাস্ক তৈরি করেছে। ওই মাস্ক বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে কিনে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, প্রায় দু’হাজার লিটার স্যানিটাইজ়ার তৈরি করা হয়েছে। ফের একশো দিনের কাজের প্রকল্পের শ্রমিকদের জন্য সাড়ে চার লক্ষ মাস্ক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। খড়গ্রামের কীর্তিপুর গ্রাম উন্নয়ন সঙ্ঘ মহিলা সমবায় সমিতি এর আগে ৮৬ হাজার মাস্ক তৈরি করেছে। আরও ৭২ হাজার মাস্ক তারা তৈরি করবে। সঙ্ঘের সভানেত্রী কেরিমা বেগম বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন। প্রশাসন মাস্ক তৈরির বরাত দেওয়ায় তাঁরা কাজ পাচ্ছেন। তাঁদের অসুবিধা কিছুটা দূর হয়েছে এতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

100 Days Work Mask Free of cost Self Help Group
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE