Advertisement
০৪ মে ২০২৪

টিউশন নিতে গিয়ে ১৬ দিন নিখোঁজ ছাত্র

বাড়ি থেকে সে বেড়িয়েছিল টিউশন নিতে যাওয়ার নাম করে। যাওয়ার আগে মায়ের কাছ থেকে চেয়ে গরম ভাত খেয়েছিল। তার পরে পার হয়ে গিয়েছে ১৬ দিন। আর বাড়ি ফেরেনি ধানতলার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বাপ্পা অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২৬
Share: Save:

বাড়ি থেকে সে বেড়িয়েছিল টিউশন নিতে যাওয়ার নাম করে। যাওয়ার আগে মায়ের কাছ থেকে চেয়ে গরম ভাত খেয়েছিল। তার পরে পার হয়ে গিয়েছে ১৬ দিন। আর বাড়ি ফেরেনি ধানতলার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বাপ্পা অধিকারী।

নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পরে কাছাকাছি একটি নির্মীয়মান বাড়ি থেকে মেলে তার বইয়ের ব্যাগ। বাড়ি থেকে যাই বলা হোক না কেন, স্কুল বলছে বাপ্পা তাদের স্কুলে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয়নি। সব মিলিয়ে ধন্দে তার পরিবার। নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে ধানতলা থানায়। পুলিশ এখনও পর্যন্ত তার কোনও খোঁজ পায়নি।

ধানতলার মাঠপাড়ায় বাড়ি বাপ্পা অধিকারীর। তার বাবা রবীন অধিকারী ছোটখাটো কাজকর্ম করেন। বাপ্পার মা বুলবুলি অধিকারী জানান, ছেলে ধানতলা হাই স্কুলের ছাত্র। এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার।। সে নিয়মিত টিউশনেও যাচ্ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি সকালের দিকে ভাত খেয়ে সে টিউশন নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রাত পর্যন্ত না ফেরায় এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করে তার বাড়ির লোকেরা। পরের দু’দিনে সব আত্মীয় বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু কোথাও মেলেনি তার সন্ধান। ২৭ জানুয়ারি ধানতলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সব থানাতেই বাপ্পার ছবি দিয়ে খোঁজ চলছে।

বুলবুলি জানান, ঘটনার দু’দিন পরে স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়ে দেন, বাপ্পা ওই স্কুলের ছাত্রই নয়। নবম শ্রেণির পরে সে আর দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয়নি। আকাশ থেকে পড়েন তাঁরা। সহপাঠীদের কাছে খোঁজ করলে তারা জানায়, বাপ্পা স্কুলে তো যেতই, এমনকী, সে টেস্ট পরীক্ষাও দিয়েছিল। বাপ্পার গৃহ শিক্ষক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানান, তিনি স্কুলের অন্য পড়ুয়াদের থেকে জেনেছেন, বাপ্পা নিয়মিত স্কুলে যেত। তবে টেস্টের পরে সে আর তাঁর কাছে পড়তে যায়নি। এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে বাড়ির লোকেদের। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে ছিউশন নিতে যাওয়ার নাম করে সে কোথায় যেত?

ধানতলা হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অশোক হাজরা জানান, স্কুলে ছাত্র ভর্তির বিষয় তিনি দেখেন না। ফলে বাপ্পা ওই স্কুলের ছাত্র কি না তা তিনি জানেন না। রবীনবাবু বলছেন, ‘‘আমার ছেলে যে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল, তার কাগজপত্র রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Student Missing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE