পুরভোটের প্রচারে এসে বেলডাঙায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ফ্রন্টের ঐক্যের উপর জোর দিলেন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় মিতালি টকিজ প্রেক্ষাগৃহে সূর্যবাবু বলেন, ‘‘ফ্রন্টের কোন দলের জোর বেশি, তা নিয়ে অহেতুক তর্ক না করে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের ভোটযুদ্ধে লড়তে হবে।’’ তিনি কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ডের কাজকর্মের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘ফেসবুকে যুবকরা মন্তব্য করছেন, বেলডাঙা কাঁদছে। তার মানে, পরিষেবা দিতে পারছে না কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ড। এর প্রতিবাদ আপনাদেরই করতে হবে।’’ এরপরই তিনি তৃণমূল ও বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, ‘‘ক্ষমতায় আসার আগে মোদী জিনিসের দাম কমার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় এসে তাঁরা সেই প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভুলে গিয়েছেন। রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শাসকদলের কাছ থেকে দল চালানোর হিসেব চেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত দলের হয়ে সে হিসেব দেওয়া।’’ এ দিনের এই নির্বাচনী সভায় হাজির ছিলেন ১৪টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা। এ ছাড়াও সভায় ছিলেন আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধায় ও সিপিএমে জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য।
অন্য দিকে, এ দিন বিকেলে রঘুনাথগঞ্জেও দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট প্রচারে যান সূর্যকান্তবাবু। তবে ঝড়-বৃষ্টিতে সভা কার্যত ভেস্তে যায়। তিনি শেষমেশ জঙ্গিপুর হাইস্কুলের মাঠের মঞ্চ ছেড়ে স্কুলের বারান্দাতেই মাইকে লাগিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ছবি বিক্রি করে তিনি দল চালিয়েছেন। তাহলে সিবিআই-কে দলের আয়-ব্যয়ের হিসেব দিচ্ছেন না কেন? বিধানসভা ভোটে প্রত্যেক প্রার্থীকে ১৬ লক্ষ টাকা দিলেন কীভাবে? দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সমর্থনে মিছিল করছেন। এর আগে এ দৃশ্য কেউ কোনও দিন দেখেননি।’’ এরপর তিনি কর্মীদের ভোটের জন্যে পুরোপুরি মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের ভরসায় বসে থাকবেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্যও অপেক্ষা করবেন না। কর্মীরা সতর্ক থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’’ জঙ্গিপুরে সূর্যবাবু বিজেপিকে সেভাবে কটাক্ষ করেননি।