—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক মানুষ যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়। সেখানে রামমন্দির দর্শন করতে। মুর্শিদাবাদও পিছিয়ে নেই। ১ মার্চ জেলা থেকে প্রায় ২০০০ মানুষ উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় যাচ্ছেন বলে দাবি করছে বিজেপি। তিন দিনের জন্য এই ভ্রমণ।
সূত্রের খবর, তাঁদের কাছ থেকে ১৪০০ টাকা করে মাথাপিছু নেওয়া হচ্ছে। তাতেই ট্রেন ভাড়া, থাকা ও খাওয়ার খরচ যুক্ত রয়েছে। তবে ১৪০০ টাকায় তিন দিনের অযোধ্যা ভ্রমণ কী ভাবে সম্ভব সেটা অনেকে বুঝতে পারছেন না। বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “যতটা জানতে পেরেছি তাতে আমাদের পুরো জেলা থেকে প্রায় ২০০০ মানুষ অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেবেন। ১ মার্চ ফরাক্কা থেকে ট্রেন ধরবেন। বিজেপি টিকিট কেটে দেওয়া, কোথায় তাঁরা থাকবেন, কী খাবেন সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে। মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় রাম মন্দির দর্শনে, সেই ব্যবস্থা বিজেপি করছে। তাঁরা নিজেদের খরচেই যাচ্ছেন। বিজেপি তাঁদের পাশে থাকছে। সহযোগিতা করছে।”
যারা যাচ্ছেন তাঁরা কী বলছেন? তাঁরা জানাচ্ছেন, তাঁরা বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে অযোধ্যা যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। ১৪০০ টাকায় তিন দিনের অযোধ্যা ভ্রমণ সাধারণ ভাবে সম্ভব নয়। বিজেপি মধ্যস্থতা করছে তাই সম্ভব হচ্ছে। বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থের তিন বাসিন্দা ১ মার্চ অযোধ্যার জন্য ট্রেন ধরবেন। তাঁদের কথায়, ‘‘আমরা বৃদ্ধ, বৃদ্ধা। এই সময় ওদের সাহায্য না পেলে অযোধ্যায় গিয়ে রাম মন্দির দেখার সৌভাগ্য হত না।’’
জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকা থেকে অনেক মানুষ অযোধ্যা যাবেন বলে জানা গিয়েছে। নবগ্রাম ব্লকের এক কলেজ ছাত্রী ও তাঁর মা অযোধ্যা যাচ্ছেন। তবে তৃণমূলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, “প্রত্যেকের কাছে ১৪০০ টাকা নিচ্ছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির দেখাতে নিয়ে যাবে। লোকসভা ভোটের আগে এটা গিমিক ছাড়া কিছু নয়। পশ্চিমবঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামবৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলিকে ঢাকতে রাম মন্দির ইস্যু নিয়ে আসা হচ্ছে। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দ্বিগুণ করেছেন। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy