তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা এবং অপপ্রচারের অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নদিয়ার করিমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যাঁর বিরুদ্ধে সাংসদের ওই অভিযোগ, তিনি মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনকি, পুলিশ সূত্রের খবর, সংসদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গিয়েছে। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহুয়া যাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন, তাঁর নাম অধীর পাল। ওই ব্যক্তি নিজেকে তৃণমূলের সমর্থক বলে দাবি করে মমতাকে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১৬ সালে তাঁর ৫৫০ বর্গফুটের ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। ২০১৬ সালের অগস্টে আইন মেনে ঘরভাড়ার জন্য একটি চুক্তিপত্র হয়েছিল। ওই ঘরটি অফিস হিসাবে ব্যবহার করেন মহুয়া। কিন্তু কোনও দিন ওই ঘরের ভাড়া দেননি তৃণমূল সাংসদ।
অধীরের এ-ও অভিযোগ, তিনি ভাড়া চাইতে গিয়ে হুমকি শুনেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে তাঁকে মহুয়া নাকি বলেছেন, চাইলে তাঁর সম্পত্তি জবরদখল করে নেবেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন, যাতে গত আট বছরের বাড়িভাড়া পান এবং ঘরটি ছেড়ে দেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন:
তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, তাঁর নাম করে সর্বৈব মিথ্যা রটনা করছেন ওই ব্যক্তি। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, পুলিশকে মহুয়া জানিয়েছেন, তিনি করিমপুরের আনন্দপল্লি সিনেমাহল পাড়ার যে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন, তার মালিক মিতা মণ্ডল বিশ্বাস। মিতার স্বামীর নাম অনুপকুমার বিশ্বাস। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০১৬ সালে অভিযুক্ত অধীরের কাছ থেকে বাড়িটি কিনে নিয়েছিলেন মিতা। অন্য দিকে, ২০১৬ সাল থেকেই মহুয়া এবং মিতার বাড়িভাড়া সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। মাসিক ভাড়া ব্যাঙ্কিং লেনদেনের মাধ্যমে মিটিয়ে দেন সাংসদ। মিতার তরফে জানানো হয়েছে, কোনও মাসের ভাড়াই বাকি নেই সাংসদের এবং তাঁর সঙ্গে এখনও মহুয়ার বাড়িভাড়া সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে অধীরের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে জানিয়েছে পুলিশ।