Advertisement
E-Paper

নড্ডার জনসভার পাল্টা তৃণমূলের

বিজেপির একাধিক সূত্রের দাবি, জনসমাবেশ করার ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতা আসলে দলীয় কোন্দলের ইঙ্গিতবাহী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:২৪
ব্রাত্য বসু কে নিয়ে সভা।

ব্রাত্য বসু কে নিয়ে সভা। — ফাইল চিত্র।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার জনসভার পাল্টা দিতে আজ, শনিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নিয়ে বেথুয়াডহরিতে সভা করছে তৃণমূল। যে বেথুয়াডহরি জুনিয়র ইস্টবেঙ্গল ময়দানে বৃহস্পতিবার নড্ডা জনসভা করেছিলেন, তার তুলনায় অনেক বড় জেসিএম মাঠে এই পাল্টা সভা ডাকা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, নড্ডার সভার তুলনায় তাদের সভায় অন্তত তিন গুণ বেশি জমায়েত হবে।

বিজেপি কেন অপেক্ষাকৃত ছোট মাঠে নড্ডার মতো বড় নেতার জনসভার আয়োজন করেছিল, তা নিয়ে আগে থেকেই চর্চা চলছে। তৃণমূল নেতাদের দাবি, বড় মাঠ ভরানোর ক্ষমতা না-থাকাতেই ছোট মাঠে সভা করা হয়েছে, সেই মাঠও পুরোটা ভরেনি। যদিও এই নাকাশিপাড়া ব্লকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি তুলনামূলক ভাল ফল করেছিল। ব্লকের ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটি তারা একক ভাবে দখল করে, আর দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্যদের সঙ্গে জোট করে বোর্ড গড়ে। যদিও পরে সব ক’টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি ধরে রাখতে পারেনি। লোকসভা ভোটে একমাত্র বিল্বগ্রাম ছাড়া বাকি চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। গত বিধানসভা ভোটে মার্জিন কমলেও তারাই এগিয়ে থেকেছে। সেখানে নড্ডার সভায় মাঠ ভরল না কেন, সেই প্রশ্ন নেতাদের তাড়া করছে।

বিজেপির একাধিক সূত্রের দাবি, জনসমাবেশ করার ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতা আসলে দলীয় কোন্দলের ইঙ্গিতবাহী। দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী যাতে এই জনসভা ‘সফল করার কৃতিত্ব’ নিতে না পারে, তার জন্য অনেকে মাঠে লোক আনার ক্ষেত্রে সার্বিক ভাবে জোর দেননি। এই পরিস্থিতিতে নড্ডার সভা থেকে নাকাশিপাড়া তথা নদিয়া উত্তর বিজেপি কতটা সুফল ঘরে তুলতে পারল, সেই প্রশ্নও সঙ্গত ভাবেই উঠছে। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া আহ্বীয়ক সন্দীপ মজুমদারের দাবি, “উনি আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি। কর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য তাঁর উপস্থিতিই যথেষ্ট।”

তৃণমূলের অবশ্য দাবি, নড্ডা থেকে সুকান্ত মজুমদার বা শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতাদের এনেও বিজেপি বিশেষ ফায়দা পাবে না। তাঁদের সভায় কমপক্ষে বিশ হাজার লোক আসবে দাবি করে তৃণমূলের নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, “এর আগেও ওদের অনেক নেতা এসেছেন। কিছু করতে পারেননি। ওদের থেকে বেশি লোক আনার জন্য আমাদের দু’তিনটি অঞ্চলই যথেষ্ট।” তবে নাকাশিপাড়া ব্লকে বিজেপির আহ্বায়ক অনুপকুমার মণ্ডলের দাবি, “তৃণমূলের সভায় যে ক’জন আসবেন তাদের ভয় দেখিয়ে আনা হবে। ওরা এটাই করে।”

TMC nakashipara Bratya Basu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy