Advertisement
E-Paper

সিপিএমের ‘দখলদারি’, বেদখল করল তৃণমূল

বছর পাঁচেক ধরে খালিই পড়ে ছিল আবসনগুলি। দেড় দিন আগে সেই আবাসনে প্রায় জোর করেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাতটি পরিবারকে। বুধবার সকালে সেখান থেকে তাদের কার্যত উচ্ছেদ করল স্থানীয় তৃমমূল নেতৃত্ব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৬ ০১:২৪
ঘর খালি করার পর লাগানো হচ্ছে তালা।— নিজস্ব চিত্র।

ঘর খালি করার পর লাগানো হচ্ছে তালা।— নিজস্ব চিত্র।

বছর পাঁচেক ধরে খালিই পড়ে ছিল আবসনগুলি। দেড় দিন আগে সেই আবাসনে প্রায় জোর করেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাতটি পরিবারকে।

বুধবার সকালে সেখান থেকে তাদের কার্যত উচ্ছেদ করল স্থানীয় তৃমমূল নেতৃত্ব।

শাসক দলের অভিযোগ,সোমবার রাত্রে চুপিসারে এক সিপিএম কাউন্সিলার ওই সাতটি ঘরের চাবি বেআইনি ভাবে ওই পরিবারগুলির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, ওই পরিবারগুলির নিজস্ব ঘরবাড়ি থাকা সত্ত্বেও পুর আবাসনের ঘর দখল নিতেই ওই কাজ করেছেন বাম কাউন্সিলর। জহ্গিপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর প্রণব সরকার মেনে নিচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে একই পরিবারের একাধিক লোক ওই আবাসনে ঘর পেয়েছে। তবে তাঁর দাবি, ‘‘এ সবই হয়েছে পুর চেয়ারম্যানের নির্দেশে।’’

চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলামও সে কতা কবুল করছেন। তিনি বলেন, “প্রত্যেকের পরিবার বড় হয়েছে। একটি ঘরে স্থান সঙ্কুলান হয় না তাই দরখাস্ত করেছিলেন। আমরাও ঘর ফাঁকা থাকায় দিয়েছি।’’

জঙ্গিপুর বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া পুরসভার জমিতে বস্তিবাসিদের থাকার জন্য ৪২টি ঘর তৈরি করেছিল নগরোন্নয়ন দফতর। বাম আমলে তৈরি ঘরগুলির ৩৫টি-তে ঘটা করে বিনি বণ্টনও করেছিলেন তদানীন্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তবে, বাকি সাতটি ঘর এ যাবত তালাবন্দি হয়েই পড়েছিল। সোমবার ওই সাতটি ঘরের চাববিই তুলে দেওয়া হয়েছিল পরিবারগুলির হাতে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই বুধবার সকালে ওই পুর আবাসনে যান জঙ্গিপুর শহর কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী ও বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মতিউর রহমানের নেতৃত্বে একদল তৃণমূল কর্মী।

তৃণমূলের বিড়িশ্রমিক সংগঠনের জঙ্গিপুরের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, “এ বারে দখলদারি চলতে পারে না। পাশের বস্তিতেই ত্রিপলের ছাউনিতে কোনওরকমে বাস করেন একাধিক পরিবার। অথচ ঘর পেল কিনা এমন পরিবার, যাদের শহরেই নিজের ঘর বাড়ি রয়েছে।’’ ওই আবাসন বণ্টন নিয়ে রাজনীতির রং দেখার অভিযোগ উঠেছিল বাম আমলেই। পাঁচ বছর পরে সে অভিযোগই ফিরে এল।

তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের চাপে এ দিন ওই পরিবারগুলির সকলেই আসবাবপত্র বের করে নিয়ে গিয়েছেন। তবে, ওই সব ঘরে এ বার তালা ঝুলিয়েছে তৃণমূল। তা হলে কি নিছকই বামেদের থেকে তৃণমূল, রাজনীতির দখলদারি বদলাল? এ দিন ওই ঘটনার পরে উত্তেজনা ছড়ানোয় ঘটনাস্থলে যায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সিপিএমের পুরকর্তারা। ঠিক হয় যারা ঘর পাননি তাদের সকলকে এক মাসের মধ্যে ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

TMC CPM Rooms
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy