Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
STF

দু’কোটিরও বেশি দামের হেরোইন নিয়ে গ্রেফতার ২

ধৃতদের নাম আব্দুল কালাম মণ্ডল ও তাপস দাস। তাদের কাছ থেকে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা ও দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বছর বাইশের আব্দুল নদিয়ার কালীগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা।

Arrest

হেরোইন পাচার করতে গিয়ে এসটিএফ-এর হাতে ধৃত আব্দুল কালাম মণ্ডল ও তাপস দাস। সোমবার রানাঘাটে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২৩ ০৬:৩২
Share: Save:

পাচারের আগেই প্রায় আড়াই কেজি হেরোইন উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। রবিবার রাতে রানাঘাটে জাতীয় সড়কের কাছে খেদাইতলায় তা ধরা পড়ে। বাজারদর দুই কোটি টাকারও বেশি।

পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম আব্দুল কালাম মণ্ডল ও তাপস দাস। তাদের কাছ থেকে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা ও দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বছর বাইশের আব্দুল নদিয়ার কালীগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। আর বছর পঁয়তাল্লিশের তাপসের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানা এলাকায়। তাদের বিরুদ্ধে রানাঘাট থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। মাদক মামলা হওয়ায় সোমবার কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের আট দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই নিয়ে গত ১১ দিনে তিন বার মাদক উদ্ধার করল এসটিএফ। এর আগে গত ৪ মে হুগলির ডানকুনিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে এক কেজি হেরোইন এবং নগদ দু’লাখ টাকা-সহ দু’জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। গত বুধবার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে পাঁচ মাদকারবারীকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের কাছ থেকে আড়াই কেজি মাদক পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

এসটিএফ সূত্রের খবর, তাপস বনগাঁ এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদকের কারবার চালায়। তার লরির ব্যবসাও রয়েছে। আগেও ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্ত পথে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে হেরোইন নিয়ে আসার উদাহরণ রয়েছে। সম্ভবত, ওই দিন বনগাঁ থেকে নদিয়া হয়ে মুর্শিদাবাদে তা পাচারের পরিকল্পনা ছিল। রাতে জাতীয় সড়কে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ গাড়ি থামিয়ে নাকা তল্লাশি করে। সে জন্য দিনের বেলাই 'নিরাপদ' বলে মনে করছে কারবারীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে চাকদহ-বনগাঁ রাজ্য সড়ক ধরে একটি গাড়ি চাকদহ চৌমাথায় আসে। সেখান থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রানাঘাট হয়ে গাড়িটি মুর্শিদাবাদের দিকে যাচ্ছিল। এসটিএফের একটি দল পিছু নিয়ে সেটিকে ধরে। তল্লাশি করতেই মেলে বিপুল পরিমাণ হেরোইন। উদ্ধার হয় নগদ টাকাও। দু’জনকে গ্রেফতার করে রানাঘাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। এই কারবারের পিছনে বড় চক্র কাজ করছে বলেই তদন্তকারীরা মনে করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

STF Crime heroine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE