Advertisement
E-Paper

বিধি ভেঙে ভর্তিতে অভিযুক্ত উপাচার্য

ভর্তি সংক্রান্ত কমিটির সঙ্গে যুক্ত এক কর্মীর বক্তব্য, শূন্য আসনটি গণিতের জন্য বরাদ্দ ছিল না। তা ছাড়া, আসন ফাঁকা হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিস দিয়ে জানাতে হয়। ওয়েটিং লিস্টের পড়ুয়াদের নিয়ম মেনে ভর্তি করাতে হয়।

মনিরুল শেখ

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:১২
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।

মেধা তালিকা অগ্রাহ্য করে স্নাতকোত্তর স্তরে রয়াসন বিভাগের ভর্তি করানোর অভিযোগ উঠল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে। এক টিএমসিপি নেতাকে বিএড-এ ভর্তির অনুমতিও তিনি দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

দিন কয়েক আগে শচীন্দ্রনাথ বর্মন নামে এক জন মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও কর্মসমিতির সকল সদস্যের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, রসায়ন বিভাগে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষের অন্যায় হস্তক্ষেপের কারণে তাঁর মেয়ে ভর্তির সুযোগ পায়নি। তাঁকে অন্যত্র ভর্তি হতে হয়েছে।

গণিতে স্নাতকোত্তর স্তরে উত্তীর্ণ, টিএমসিপি নেতা তুহিন ঘোষ বিএড-এ ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। মেধা তালিকা অনুযায়ী তিনি ভর্তি হতে পারেননি। এরই মধ্যে বিএডে ভর্তি শেষ হয়ে যায়। পরে তুহিন জানতে পারেন, একটি আসন ফাঁকা হয়েছে। ভর্তি সংক্রান্ত কমিটির সঙ্গে যুক্ত এক কর্মীর বক্তব্য, শূন্য আসনটি গণিতের জন্য বরাদ্দ ছিল না। তা ছাড়া, আসন ফাঁকা হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিস দিয়ে জানাতে হয়। ওয়েটিং লিস্টের পড়ুয়াদের নিয়ম মেনে ভর্তি করাতে হয়। উপাচার্য সে সব কিছু করেননি বলেই অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, গত ২৫ সেপ্টেম্বর তুহিন শূন্য আসনে ভর্তি হতে চেয়ে উপাচার্যকে চিঠি লেখেন। কিছু ছাত্রনেতাও তাঁকে ভর্তি করানোর জন্য উপাচার্যের কাছে দরবার করেন। গত ৩১ সেপ্টেম্বর উপাচার্য চিঠির উপরে লিখে দেন, ‘মে বি অ্যাডমিটেড, ইফ পসিবল।’ এর পরেই তুহিনকে ভর্তি করানো হয়। তুহিন কোনও মন্তব্যই করতে চাননি।

এই শিক্ষাবর্ষে রসায়ন বিভাগে ভর্তির পরীক্ষা দিয়েছিলেন খড়দহের সুরজ পাহাড়। তালিকায় অসংরক্ষিত গোত্রে তাঁর নাম ছিল ২৪৬ নম্বরে। ভর্তি শেষ হয়ে যায় ৪৩ নম্বরে। কিন্তু উপাচার্যের দাক্ষিণ্যেই তিনি ভর্তি হন বলে অভিযোগ। গত ২০ সেপ্টেম্বর ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠান সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন চেয়ারপার্সন তপনকুমার বিশ্বাস। তাতে তিনি লেখেন, সুরজ পাহাড়কে ভর্তির ব্যাপারে উপাচার্য অনুমতি দিয়েছেন। অতএব তাঁর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। সুরজকে ফোন করা হলে প্রশ্ন শুনেই ফোন কেটে দেন।

বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন আবুটা-র সাধারণ সম্পাদক অলোক ঘোষের দাবি, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় উপাচার্যের হস্তক্ষেপের কোনও সংস্থান নেই।’’ উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষের কাছে কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। এ বিষয়ে কিছুই মনে পড়ছে না বলে তিনি দাবি করেছেন।

Vice Chancellor Kalyani University corruption
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy