প্রতীকী ছবি।
পুরসভায় আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতেই আসন রফা নিয়ে বাম-কংগ্রেসের মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। বেলডাঙা ও বহরমপুর পুরসভার আসন রফা নিয়ে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। এ বার দর কষাকষি শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদ পুরসভা নিয়ে। সম্প্রতি সিপিএমের মুর্শিদাবাদ এরিয়া কমিটির অফিসে আসন রফা নিয়ে বাম কংগ্রেস নেতৃত্বের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ বদরুদ্দোজা খান, ফরওয়ার্ড ব্লকের জোনাল সম্পাদক আব্দুল মান্নান, মুর্শিদাবাদ শহর কংগ্রেসের সভাপতি অর্ণব রায় উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে কংগ্রেস ৯টি আসনে ও বামেরা ৭টি আসনে লড়বে বলে প্রস্তাব উঠলেও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বদরুদ্দোজা বলেন, ‘‘কংগ্রেস ৯টি আসনে এবং আমরা ৭টি আসনে লড়াই করব বলে আলাপ আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে ফের আলোচনা হবে।’’ তাঁর দাবি, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমস্ত ভোটকে এক জায়গায় করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলছেন, ‘‘দুই দলের স্থানীয় স্তরের কয়েকজন নেতা পুরভোট নিয়ে কিছু আলোচনা করেছেন। সেখানে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। সিদ্ধান্ত নেবেন অধীর চৌধুরী।’’
গত পুরসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস একক ভাবে ১০টি আসন পেয়ে পুরসভা দখল করেছিল। সেই ভোটে তৃণমূল ১, বামফ্রন্ট ৩ ও বিজেপি ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস-সহ অন্য দলের একাধিক কাউন্সিলর দল বদল করে তৃণমূলে নাম লেখান। ফলে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ পুরসভা তৃণমূলের দখলে। গত লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ পুরসভায় তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে বিজেপি অবশ্য এগিয়ে ছিল ১২টি ওয়ার্ডে। দ্বিতীয় স্থানে থেকে তৃণমূলও পাল্টা প্রস্তুতি শুরু করেছে জোর কদমে। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদে বাম–কংগ্রেসকে কাছাকাছি এনে দিয়েছে। সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের দাবি, আসন্ন পুরভোটে বিজেপি এবং তৃণমূলকে হারাতে রাজ্যজুড়ে গণতান্ত্রিক দল, বিশেষ করে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পুরসভায় বাম কংগ্রেসের জোট প্রক্রিয়াকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের জেলার মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে সিপিএমের হাতে একের পর এক কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন। আর আজ, তারা হাত ধরাধরি করে ভোট চাইবে— এর থেকে ঘৃণার কি থাকতে পারে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy