Advertisement
E-Paper

জাকিরের পরে কে, উদ্বেগ কাটছে না

ক’দিন আগেই আয়কর দফতর হানা দেয় জাকিরের বাসভবন ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা চাল কল সহ কয়েক জায়গায়। সেখান থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চায়েত নির্বাচন দোরগোড়ায়। তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই এ বারে মুর্শিদাবাদে দলের অন্যান্য নেতাদের বাড়িতেও কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের হানার আশঙ্কা করছেন জেলার তৃণমূল নেতারা। বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই অপব্যবহারের আশঙ্কা খোদ তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান কানাই চন্দ্র মণ্ডলের।

ক’দিন আগেই আয়কর দফতর হানা দেয় জাকিরের বাসভবন ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা চাল কল সহ কয়েক জায়গায়। সেখান থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা। কানাইবাবুর অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ও সাগরদিঘি উপ নির্বাচনের আগে দলের কিছু নেতা ও কর্মীদের ভয় দেখাতেই এসব বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত। এ সবকে উপেক্ষা করেই দিদির সুরক্ষা কবচ দলকে বাড়তি শক্তি জোগাবে মুর্শিদাবাদে।”

পাশাপাশি বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ ফের বলেন, “এ জেলার কোন তৃণমূল নেতা গরু পাচারে যুক্ত ছিলেন, কার সম্পত্তির পরিমাণ কত বেড়েছে সব কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের নজরে আছে। ওই সব নেতারা ভয় তো পাবেনই। নির্বাচনে এক সময় শাসক দলকে ফান্ড জুগিয়ে ছিল চিট ফান্ড। পরে গরু পাচার। মাঝে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পুকুর চুরি করে সে অর্থ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছে। এখন নির্বাচনের ফান্ডের ভরসা কিছু ব্যবসায়ী, যাঁরা আয়ের তুলনায় আয়কর দেন না। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। সব কিছু চলছে আদালতের হস্তক্ষেপে ও এজেন্সিদের তদন্তে। আমরা জেনেছি মুর্শিদাবাদের একাধিক তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে গরু পাচারে। শুভেন্দু অধিকারী সেটাই বলতে চেয়েছেন বেলডাঙায় শক্তিপুরের জনসভায়। তারা খুব শীঘ্র জেলে ঢুকবেন। তাতেই ভয় ঢুকেছে শাসক দলের কিছু নেতার ভিতরে। যাঁরা সে সব অপকর্মে জড়িত নন তাঁদের ভয় পাওয়ার তো কিছু নেই?”

জাকির ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়ি ছাড়াও সাংসদ খলিলুর রহমানের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও হানা দেন আয়কর আধিকারিকেরা।তৃণমূল চেয়ারম্যানের মতে, “আসলে সাধারণ মানুষকে বিজেপি বোঝাতে চাইছে এরা সবাই চোর। সমাজের কাছে কলঙ্কিত করার চেষ্টা। এর বিরুদ্ধে আমরা পথে রয়েছি মানুষের সঙ্গে। কারণ আমাদের আশঙ্কা, যত এগিয়ে আসবে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন, বিজেপির কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যবহারও তত বাড়বে।’’কানাইবাবুর আশঙ্কা, ‘‘বিজেপির উদ্দেশ্য বিধায়কদের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। দলের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানের আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দিয়ে তার স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে কালি ছেটাবার চেষ্টা হচ্ছে।’’

Panchayat Election TMC BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy