রাশিয়া থেকে এসেছেন কনে। আর বর কান্দির। নিজস্ব চিত্র।
রাশিয়া থেকে মুর্শিদাবাদ। সব ছেড়েছুড়ে এসেছেন এই তরুণী। শুধুমাত্র প্রেমের টানে। নিজের সংস্কৃতি ধর্ম, সংস্কৃতি পিছনে ফেলে আপন করে নিয়েছেন কাছের মানুষটার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য। ছাঁদনাতলায় দাঁড়িয়ে সাত পাক ঘুরেছেন আলেকজান্দ্রা ইভানোভা। করেছেন মালাবদল। লাল বেনারসি আর মুকুট পরে। তাঁকে আপন করে নিয়েছেন সহস্রাংশু সিংহ এবং তাঁর পরিবার।
রাশিয়ার নোভোসিবির্স্কে থাকতেন আলেকজান্দ্রা। পেশায় অর্থনীতিবিদ ছিলেন। কাজ করতেন সাইবেরিয়ান রেলওয়েতে। ২০১৬ সালে অক্সফোর্ডে পড়তে গিয়েছিলেন আলেকজান্দ্রা। সেই সময় আলাপ হয় সহস্রাংশুর সঙ্গে। তখনই ভাল লেগে যায়। ক্রমে বিয়ের সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেন দু’জন।
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির ছাতিনাকান্দির তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা সহস্রাংশু। এখন একটি বেসরকারি সংস্থার কর্ণধার। তাঁর গলায় মালা দিতেই রাশিয়া থেকে উড়ে এসেছেন আলেকজান্দ্রা। ছেড়ে এসেছেন চাকরি। তার পর কান্দিতে সানাই বাজিয়ে মালাবাদল করলেন রাশিয়ার কনে আর কান্দির বর। একেবারে বাঙালি রীতিনীতি মেনে। কনে যদিও একা আসেননি। সঙ্গে এসেছেন মা মারিনা অ্যানোথিনা। তিনিও শামিল হয়েছেন বিয়েতে। উপভোগ করেছেন বাঙালি ভোজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy