তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোল মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির মানিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত। দলের মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘরে আটকে রেখে তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এ নিয়ে সাগরদিঘি থানায় অভিযোগ করেছেন জখম আলিয়া বিবি। অভিযোগ উঠেছে, সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন। মসিউর অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এই গন্ডগোলের জেরে অস্বস্তিতে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
গন্ডগোলের সূত্রপাত দলীয় মিটিং নিয়ে। তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, দলীয় দ্বন্দ্বের জেরে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে খরচ সংক্রান্ত বৈঠক পাঁচ বার বাতিল হয়েছে। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার বৈঠক শুরু হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত ছিলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান এবং সাগরদীঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। কিন্তু সাংসদ এবং বিধায়কের উপস্থিতিতেই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বচসা শুরু হয় দলের দুই পক্ষের। অভিযোগ, সেখানেই মহিলা প্রধানের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে তাঁর গায়ে হাত তোলেন মসিউর।
আরও পড়ুন:
ওই ঘটনার পর আলিয়া এবং তাঁর সমর্থকেরা সাগরদিঘি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রধানের কথায়, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমাকে হেনস্থা করার চেষ্টা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। দল ও প্রশাসনকে জানিয়েছিসে কথা।’’ অন্য দিকে, অভিযুক্ত মসিউরের দাবি, ‘‘আর্থিক স্বচ্ছতার অভাবে জনরোষ তৈরি হয়েছিল। সাধারণ মানুষ তার প্রতিবাদ করেছিলেন। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’
তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের কটাক্ষ, তোলাবাজি নিয়ে অন্তর্কলহে এই ঘটনার মূল কারণ। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।