Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

এখনও খোঁজ নেই কিশোরের

দু’টো দিন কেটে গেল। এখনও খোঁজ মিলল না শান্তিপুরের কিশোরের। বাড়ির মেয়েকে উত্যক্ত করছে পড়শি ছেলেটা। তাই তাকে উপযুক্ত ‘শাস্তি’ দিতে বাড়িতে ডেকে এনে মারধর করেন গৃহকর্তা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৩
Share: Save:

দু’টো দিন কেটে গেল। এখনও খোঁজ মিলল না শান্তিপুরের কিশোরের।

বাড়ির মেয়েকে উত্যক্ত করছে পড়শি ছেলেটা। তাই তাকে উপযুক্ত ‘শাস্তি’ দিতে বাড়িতে ডেকে এনে মারধর করেন গৃহকর্তা। এর পর থেকেই উধাও ছেলেটির। পুলিশ গত কাল জানিয়েছিল, হয়তো লজ্জায়-অপমানে কোথাও চলে গিয়েছে সে। কিন্তু ছেলেটির বাড়ির লোকের অভিযোগ, মেয়েটির পরিবার মেরে গুম করে দিয়েছে তাঁদের ছেলেকে।

বুধবার বেলা প্রায় এগারোটার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না ছেলেটির। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে শান্তিপপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তাদের অভিযোগ, প্রতিবেশী কলকাতা পুলিশের কর্মী নিত্যানন্দ দেবনাথ তাঁদের ছেলেকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে গুম করে দিয়েছে।

শান্তিপুর থানার তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, “বিষয়টা সত্যিই রহস্যজনক। কারণ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঘটনার পর থেকে বাড়িতেই আছেন। যখনই ডাকা হচ্ছে এসে কথা বলছেন। অপরাধ করলে সাধারণত সেটা হয় না। তবে এর ব্যতিক্রমও যে হয় না, তা-ও নয়।”

পুলিশ এ দিনও দাবি করে যে, হয়তো লজ্জায় সে এলাকা ছেড়ে কোথাও চলে গিয়েছে। যদিও এই যুক্তি মেনে নিতে পারছে না
ছেলের পরিবার। তাঁদের পাল্টা দাবি, “লজ্জা পেয়ে চলে গেলেও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে থাকতে পারত না চোদ্দো বছরের একটা ছেলে। অন্তত নিজের মাকে একবার ফোন করতই।”

এ দিকে মারধর করার অভিযোগও অস্বীকার করছেন ছাত্রীটির বাবা গৌতম দেবনাথ। তাঁর দাবি, “আমরা কেউ ওকে মারিনি। ছেলেটার মা-ই ওকে মেরেছে।” যা শুনে নিখোঁজ কিশোরের মা পূর্ণিমা দাস বলেন, “কি হাস্যকর কথা না! আমি মারলাম আমার ছেলেকে আর আমিই গুম করে রাখলাম।” প্রতিবেশী এক যুবক মারধরের সেই দৃশ্য মোবাইলে ধরেও রেখেছে। যদিও মেয়েটির বাড়ির এক কথা— ‘‘আমরা মারিনি। গুম করা তো দূর অস্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Youth Missing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE