Advertisement
E-Paper

অনাস্থায় অপসারিত ছয়ঘরির প্রধান

প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হওয়ায় দৌলতাবাদ থানা এলাকার ছয়ঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতটি সিপিএমের হাতছাড়া হয়ে গেল। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন সিপিএমের হান্নান আলি মণ্ডল। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ হয়। বহরমপুরের বিডিও বর্ণমালা রায় বলেন, “এ দিনের সাধারণ সভায় ওই পঞ্চায়েতের মোট ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন অনুপস্থিত ছিলেন। সভায় ছিলেন বাকি ১০ জন সদস্য। তাঁরা সবাই অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন। ফলে ১০-০ ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১০

প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হওয়ায় দৌলতাবাদ থানা এলাকার ছয়ঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতটি সিপিএমের হাতছাড়া হয়ে গেল। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন সিপিএমের হান্নান আলি মণ্ডল। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ হয়। বহরমপুরের বিডিও বর্ণমালা রায় বলেন, “এ দিনের সাধারণ সভায় ওই পঞ্চায়েতের মোট ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন অনুপস্থিত ছিলেন। সভায় ছিলেন বাকি ১০ জন সদস্য। তাঁরা সবাই অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন। ফলে ১০-০ ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার উপ-প্রধানের বিরুদ্ধেও অনাস্থা জ্ঞাপনের বিষয়ে সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে।”

বিগত নির্বাচনে ছয়ঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৮ টি আসনের মধ্যে সিপিএম পেয়েছিল ৮টি এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ৭টি আসন। তৃণমূল পেয়েছিল ২টি আসন। বাকি একটি আসনে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থী। ফলে ৮ টি আসন পেয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড় গড়েছিল সিপিএম। প্রধান ও উপ-প্রধান হয়েছিলেন সিপিএমের হান্নান আলি মণ্ডল ও আয়েসা সুলতানা। সিপিএমের ৮ জনের মধ্যে ২ জন পঞ্চায়েত সদস্য দলত্যাগ করে সম্প্রতি কংগ্রেসে যোগ দেন। ফলে সিপিএমের দখলে থাকা পঞ্চায়েত বোর্ড সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। সিপিএম ছেড়ে আসা ২ সদস্য, নির্দল এক সদস্য এবং কংগ্রেসের ৭ জন মিলে কংগ্রেস শিবিরের মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১০। গত ২১ অগস্ট ওই ১০ জন সদস্য বর্তমান প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে নেটিস জারি করেন। বিডিও বর্ণমালা রায় বলেন, “সেই মতো এ দিন সাধারণ সভা ডাকা হয়েছিল।”

এ দিনের সাধারণ সভায় সিপিএমের ৬ জন এবং তৃণমূলের ২ জন মিলে মোট ৮ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। হাজির ছিলেন বাকি ১০ জন। তাঁদের অনাস্থা ভোটে প্রধান পদ থেকে হান্নান আলি মণ্ডলকে অপসারণ করা হয়। ওই অপসারণ বেআইনি জানিয়ে সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন মণ্ডল বলেন, “পদ ও অর্থের লোভ দেখিয়ে আমাদের ২ জন সদস্য ভাঙিয়ে নিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস।” সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করে ছয়ঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল হামিদ মণ্ডল বলেন, “স্বজন পোষণ ও দুর্নীতির কারণে দুই সদস্য সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে এসেছেন। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।”

no confidence motion cpm panchayat pradhan daulatabad
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy