“এক ‘ম’ জেলে ঢুকেছেন। এখনও অনেক ‘ম’ বাকি রয়েছেন।”
ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পথে রবিবার ফরাক্কায় সাংবাদিক বৈঠকে এ ভাবেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, এ রাজ্যে সারদার আর্থিক নয়ছয়ে রাজ্য জুড়ে এখন নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতারকদের হয়ে রাস্তায় নেমে এসে মিছিল করেন, সেখানে এমন নৈরাজ্য হবে বলেই তাঁর মত।
তিনি বলেন, “এ রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল। দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে মানবাধিকার কমিশনের কার্যত কোনও অস্তিত্বই নেই।”
তিনি জানান, সিবিআই এ রাজ্যে সারদার কেলেঙ্কারিতে বড় মাথাদের ধরতে যে তদন্ত চালাচ্ছে তাতে রাজ্যে কোনও সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দেওয়ার প্রশ্ন নেই। কারণ মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে জয়ললিতা ও ইয়েদুরাপ্পাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সূর্যবাবু বলেন, “তা বলে কোনও অবস্থাতেই ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের বিরোধী আমরা। শুধুমাত্র বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় জ্যোতি বসু বিশেষ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছিলেন। আমরা চাই না সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক।”
তবে এমন পরিস্থিতে কোনও দলের সঙ্গে জোট বাঁধার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানান। তাঁর কথায়, “প্রতারকদের সঙ্গে জোট বাঁধার প্রশ্নই আসে না। তা করলে দলের কর্মীদের কাছে মুখ দেখাতে পারব না। এখন কোনও দলের সঙ্গে জোটের প্রশ্ন নেই। তিনি বলেন, “তৃণমূলের মতো বিজেপির অনেকেই সহারার সঙ্গে জড়িত। নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছতার কথা বলছেন। অথচ তাঁর মন্ত্রিসভাতেই দাগীদের স্থান দেওয়া হয়েছে।”
সিবিআইয়ের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নানা সময়ে ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআইকে ব্যবহার করেছে। সারদা তদন্তের মতো সব তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে হলে সিবিআইকে কেউ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবে না।”
ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিজেপি বলছে রাম রাম। তৃণমূল বলছে রহিম রহিম। এর ফলে ভারতবর্ষ ধর্মনিরপেক্ষতার চরিত্র হারাতে বসেছে।” এ রাজ্যে বিজেপি যে বাড়ছে তা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, “মমতার হাত ধরেই এ রাজ্যে বিজেপি এসেছে। বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী তিনিই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy