Advertisement
E-Paper

ক্ষতিপূরণ নয়, ‘বঙ্গশ্রী’ দিতে বললেন অধীর

মাখড়া-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণের ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সোমবার বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দান লাগোয়া রাস্তায় অস্থায়ী মঞ্চ করে সভা করে মুর্শিদাবাদ জেলা কিষাণ কংগ্রেস কমিটি। সেখানে অধীর বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব, ওই মাখড়া গ্রামে যারা তৃণমূূল দলের হয়ে খুন করতে গিয়ে খুন হয়ে গেল, তাদেরকে আপনি একটা করে বঙ্গশ্রী দিন। আপনার পার্টির হয়ে জমি দখল করতে তারা প্রাণ দিয়েছে, তাদের দু’লক্ষ টাকা করে কেন দিচ্ছেন? দু’লক্ষ টাকায় কী হবে?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১৬
বহরমপুরে অধীর। —নিজস্ব চিত্র।

বহরমপুরে অধীর। —নিজস্ব চিত্র।

মাখড়া-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণের ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সোমবার বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দান লাগোয়া রাস্তায় অস্থায়ী মঞ্চ করে সভা করে মুর্শিদাবাদ জেলা কিষাণ কংগ্রেস কমিটি। সেখানে অধীর বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব, ওই মাখড়া গ্রামে যারা তৃণমূূল দলের হয়ে খুন করতে গিয়ে খুন হয়ে গেল, তাদেরকে আপনি একটা করে বঙ্গশ্রী দিন। আপনার পার্টির হয়ে জমি দখল করতে তারা প্রাণ দিয়েছে, তাদের দু’লক্ষ টাকা করে কেন দিচ্ছেন? দু’লক্ষ টাকায় কী হবে? আপনি তাদের একটা করে বঙ্গশ্রী করে দিন।” রাজ্য সরকারের সমালোচনায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “এই সরকার যে চোর তাকে মদত করে। এই সরকার যে খুনী তাকে পুরস্কৃত করে। যে সরকারের দালালি করবে, এ সরকার তাকে বুকে আগলে রাখবে। সেখানে নিয়ম মানে না। সেখানে নীতি মানে না।”

পুলিশের সমালোচনা করে অধীর তৌধুরী বলেন, “আমাদের রাজ্যে বীরভূম থেকে ভাঙড় চারিদিকে পুলিশ-তৃণমূলের যৌথ সন্ত্রাসে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষ আতঙ্কিত। সংবাদপত্র খুললেই প্রতিদিন বোমা-খুন-সংঘর্ষ। বাংলায় পুলিশ ও প্রশাসন বলে কিছু নেই। সব কিছু চালাচ্ছে তৃণমূলের নেতানেত্রীরা।” মুর্শিদাবাদ জেলাতেও অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অধীরবাবু জানান। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদের অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখানকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকায় সম্ভব হচ্ছে না। আমি বলব বীরভূম, ভাঙড়, ২৪ পরগণা থেকে শিক্ষা নিন।”

সভা চলাকালীন মুর্শিদাবাদ জেলা কিষাণ কংগ্রেস বিভিন্ন দাবিতে জেলা রেজিষ্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। জেলা রেজিষ্ট্রার মহম্মদ হুমায়ুন আলি বলেন, “গোটা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”

এদিনই ডোমকলের একটি প্রেক্ষাগৃহে কর্মিসভা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেখানে অবশ্য ৩০ মিনিটের বক্তব্যের বড় অংশ জুড়ে ছিলেন এক সময়ের দলের সাংসদ বর্তমানে তৃণমূল নেতা মান্নান হোসেনের দল ছাড়ার সমালোচনা। কর্মিসভায় অধীর মেনে নেন, “আমাকে এক কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে।” এ দিনের সভায় বেশ কিছু তৃণমূলকর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের। তৃণমূল অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।

adhir chowdhury compensation bangashree berhampore domkal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy