প্রায় দু’ মাস পরে চাকদহে এক যুবক খুনের কিনারা করল পুলিশ। মৃত রতন দে-র বন্ধু গৌতম সেনকে রবিবার রাতে হুগলি জেলার চুঁচুড়া থানার নবাববাগা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, খুনের আগে গৌতমই ফোন করে ডেকে এনেছিলেন রতনকে।
গত ৪ মে বিকালে নদিয়ার চাকদহ থানার শিমুরালী চৌমাথার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রতন কুমার দে-র (৩৮) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সমাজবিরোধী কাজকর্মে যুক্ত রতন চুঁচুড়ার সুকান্তনগরে বসবাস করতেন আগে। সেখানে গোলমাল হওয়ায় বছর খানেক আগে চাকদহ থানার চান্দুরিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মলিচাগড় গ্রামে বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। এরপর গাড়িতে খালাসির কাজ নেন তিনি। কিন্তু অতীত পিছু ছাড়েনি। হুগলিতে বিরোধী গোষ্ঠীর দুষ্কৃতী টোটন তাঁকে খুনের ছক কষেন। ঢাল হিসাবে রতন যে গাড়ির খালাসি ছিল, তার চালক গৌতমকে কাজে লাগান টোটন। পুলিশের কাছে গৌতম জানিয়েছেন, ভয় দেখিয়ে রতনকে ফোন করতে বাধ্য করা হয়েছিল তাঁকে। গৌতমের দাবি, ব্যান্ডেল মোড় থেকে একটা গাড়িতে তিন দুষ্কৃতী তুলে নেয় তাঁকে। পরে উত্তর ২৪ পরগনার বাগমোড় থেকে আরও একটা গাড়ি যোগ দেয়। সেই গাড়িতে আরও চার জন ছিল। চাকদহে পৌঁছে রতনকে ডাকেন গৌতম। রানা এবং বাবু নামে দুই দুষ্কৃতী গুলি করে মারে বলে দাবি গৌতমের। আপাতত গৌতমের বয়ান খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অবশ্য তারাও মনে করছে পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল রতনের মোবাইল। সেই মোবাইলের কল লিস্ট থেকে জানা যায়, খুনের ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ আগে চুঁচুড়া, ত্রিবেনী, কল্যাণী, মদনপুর-সহ কয়েকটি জায়গা থেকে ফোন এসেছিল রতনের কাছে। পুলিশ বুঝতে পারে ঘটনার যোগসূত্র হুগলিতে। এরপরেই তদন্তে টোটন, গৌতমদের নাম উঠে আসে। গৌতমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের দ্রুত ধরার আশা করছে নদিয়া জেলা পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy