জমিতে মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উভয়দলের সাত জন আহত হলেন। এদের মধ্যে দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলা থানার চাঁদপুর এলাকায়। তবে, গণ্ডগোলটা যত না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি পারিবারিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রামে স্থানীয় এক তৃণমূলকর্মী তাঁর দাদার জমিতে মাটি ফেলছিলেন। পাশে হরিপদ বারুই নামে এক বিজেপি কর্মীর জমিতে কিছুটা মাটি পড়ে যাওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করেন। সেই সময় হরিপদবাবুর হয়ে মোহন বসু নামে বিজেপি-র আরও এক কর্মী সওয়াল করেছিলেন। গোলমালে মাটি ফেলা বন্ধ করে দিলে সকলে বাড়ি ফিরে যান। অভিযোগ, রাত ৯টা নাগাদ মোহনবাবু যখন বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় কয়েকজন তৃণমূলকর্মী তাঁর পথ আটকান। সকালের মাটি ফেলার বিষয় নিয়ে বচসা শুরু হয়। মোহনবাবুকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে বিজেপি কর্মীরা ছুটে যান। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। জখমদের মধ্যে এক জনকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে এবং এক জনকে কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপি-র কামালপুর অঞ্চল সভাপতি অসীম বিশ্বাস বলেন, “আমাদের উত্থানে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। তাই বিভিন্ন ভাবে আমাদের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে ওরা।” নদিয়া জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বানীকুমার রায় অবশ্য বলেন, “ওই বিজেপি কর্মীর জমির পাশে আমাদের এক কর্মীর দাদার জমি আছে। সেখানে মাটি ফেলতে গিয়ে একটু মাটি ওই বিজেপি কর্মীর জমিতে চলে যায়। সামান্য ব্যাপার নিয়ে ওরা পায়ে-পা দিয়ে গণ্ডগোল করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy