কৃষ্ণনগরে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র খুনের ঘটনায় এখনও অধরা নিতাই দাস। যদিও তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে শুক্রবারই।
বুধবার রাতে দাদুর বাৎসরিক কাজে যোগ দিতে যাওয়ার পথে কৃষ্ণনগর স্টেশন লাগোয়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ইন্দ্রনীল রায় নামে এক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র।
বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ওরফে কেলে চিমাকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতী বলে পরিচিত নিতাই দাসের নাম উঠে আসে তদন্তে। সেই মতো নিতাই ও তার শাগরেদদের ধরতে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউই ধরা পড়েনি। শুক্রবার কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে আবেদন করে নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত নিতাইয়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন,‘‘নিতাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক পুরনো মামলা আছে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। কাউকেই ছাড়া হবে না।’’
এ দিকে নিতাইয়ের রাজনৈতিক আশ্রয়কে ইস্যু করে ময়দানে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। শনিবার কৃষ্ণনগরে পোস্ট অফিস মোড়ে বামফ্রন্টের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা সিপিএম-এর সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের আক্রমণ করছে। তার মধ্যে পড়ে একটা নিরীহ বাচ্চা ছেলে মারা গেল। সে তো কোনও পক্ষে ছিল না। আপনাদের কারও নিরাপত্তা নেই।’’
নিতাই-সহ অন্য দুষ্কৃতীদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তৃণমূল পাল্টা আঙুল তুলছে সিপিএম-এর দিকে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘ওরা সিপিএম-এর ছত্রছায়ায় ছিল। আমরা নিতাইকে আশ্রয় দিইনি।’’
এদিকে, রাজনৈতিক টানাপড়েনে বীতশ্রদ্ধ নিহত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ইন্দ্রনীল রায়ের পরিবার। মেসোমশাই সুবোধ প্রামাণিকের সঙ্গে এক রিকশাতে চেপে বুধবার মামার বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইন্দ্রনীল। সেদিনের ঘটনা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না নৈহাটির বাসিন্দা সুবোধবাবু। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাজনৈতিক কচকচানি বুঝি না। আমরা শুধু চাই অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy