ফুটপাথ দখল করে গড়ে ওঠা দোকান বন্ধ করে দিল পুলিশ। প্রতিবাদে কংগ্রেসের নেতৃত্বে আবার সেই সব দোকান খোলা হল বহরমপুরে।
শহরের ক্যান্টনমেন্ট রোডের ফুটপাতের উপর প্রায় ৪০ টি দোকান রয়েছে। সেখানে যেমন হোটেল রয়েছে তেমনই রয়েছে নানা জিনিসপত্রের দোকান। ব্যস্ত রাস্তার একাংশ জুড়ে এই ব্যবসা চলতে থাকায় বিপাকে পড়েন পথচারীরা। থেকেই যায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। বুধবার পুলিশ দোকান গুলি বন্ধ করে দেয়, আটক করে চার জন দোকানদারকেও।
এর পরই কংগ্রেস বিধায়ক মানস চক্রবর্তী ও দলের জেলা মুখপাত্র অশোক দাসের নেতৃত্বে কংগ্রেস সমর্থকরা সেখানে হাজির হয়ে দোকানগুলি ফের খুলে দেন। এ দিনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন সন্ধ্যায় বহরমপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
কংগ্রেসের দাবি, ওই এলাকার দোকানঘরগুলির অধিকাংশই পৌরসভার দ্বারা লাইসেন্স প্রাপ্ত। ফলে এ ভাবে সে গুলি বন্ধ করে দেওয়াটা বে আইনি। অশোক দাসের অভিযোগ, “হঠাৎ তুঘলকি কায়দায় দোকানগুলি বন্ধ করে দেয় পুলিশ। তার প্রতিবাদেই আমরা গিয়ে দোকানগুলি খুলে দিয়েছি।”
এ দিকে মুশির্দাবাদ জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “শহরের ব্যস্ততম রাস্তা ক্যান্টনমেন্ট রোড। ব্যারাক স্কোয়্যার ফিল্ড-র পূর্বপাড়ে ওই দোকানগুলি গড়ে উঠায় সেখানে সবসময় যানজট লেগেই থাকে। বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। সে কারণেই বহরমপুরের পৌরপ্রধানকে প্রস্তাব দিয়েছি, দোকান ঘর গুলি ব্যরাক স্কোয়ারের পশ্চিম দিকের রাস্তার পাশে সরিয়ে দেওয়া হোক।”
পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন “এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসে যৌথভাবে সমস্যার মোকাবিলা করা হবে।” কিন্তু বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য আলাপ আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করা যেত। তা না করে পুলিশ দোকানগুলি বন্ধ করে দেয়। তার প্রতিবাদেই দোকান গুলি খুলে দেওয়া হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy