Advertisement
০৯ মে ২০২৪

নিখোঁজ দুই বোনের দেহ পুকুরে

দুই বোনের দেহ উদ্ধার হল পুকুর থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুরের সাহাজাদপুরের বাসুদেবখালি চাঁইপাড়ার একটি পুকুরে স্থানীয় শুভশ্রী ওরফে সুস্মিতা (৮) ও দেবশ্রী মণ্ডল ওরফে পায়েলের (৬) দেহ ভাসতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পড়শিদের দাবি, দুই বালিকার পা গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৩৩
Share: Save:

দুই বোনের দেহ উদ্ধার হল পুকুর থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুরের সাহাজাদপুরের বাসুদেবখালি চাঁইপাড়ার একটি পুকুরে স্থানীয় শুভশ্রী ওরফে সুস্মিতা (৮) ও দেবশ্রী মণ্ডল ওরফে পায়েলের (৬) দেহ ভাসতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পড়শিদের দাবি, দুই বালিকার পা গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। ঘটনার তদন্ত চলছে।” ওই দুই বালিকার বাবা, মা, দাদু ও দিদাকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী সনাতন মণ্ডলের সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয় মেনকা মণ্ডলের। দুই মেয়ের জন্মের পরেই সাংসারিক অশান্তির জেরে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপর দুই মেয়ে শুভশ্রী ও দেবশ্রীকে নিয়ে মেনকাদেবী বাবার বাড়িতে চলে এসে স্বামী সনাতনের বিরুদ্ধে খোরপোশের মামলা করেন। ওই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। ইতিমধ্যে সনাতন মণ্ডল ফের বিয়ে করেন।

বুধবার সন্ধে থেকে দুই বোন নিখোঁজ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা পুকুরে দেহ দুটি দেখতে পেয়ে পাড়ে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

একসঙ্গে দুই বোনের মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসুদেবখালি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে শুভশ্রী দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং দেবশ্রী প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ওই দুই বোনকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

একই অভিযোগ করেন সনাতন মণ্ডলের বাবা পেশায় সব্জি বিক্রেতা অনন্ত মণ্ডলও। তাঁর অভিযোগ, “ফুলের মতো দেখতে আমার দুই নাতনিকে খুন করা হয়েছে। ওরা দু’জনেই খুব ভাল সাঁতার জানে। জলে ডুবে মারা গিয়েছে বলে যা বলা হচ্ছে তা ঠিক কথা নয়। মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে।” তিনি বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি সব পরিবারেই হয়ে থাকে। ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু বৌমার বাবা মঙ্গল মণ্ডল তা মানেননি। জোর করে মেয়েকে নিয়ে চলে যান। নাতনিদের দেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু সেটাও মানতে চায়নি ওই পরিবার।” বাবা সনাতন মণ্ডল অবশ্য কোনও কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। পুলিশের দাবি, মেনকাদেবী মানসিক ভারসাম্যহীন।

পুলিশ সুপার বলেন, “হাত-পা বাঁধা ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই দুই বালিকার বাবা, মা, দাদু ও দিদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

berhampur missing sisters
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE