পরিচয় গোপন করে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী। অভিযোগ, বাড়ির মালিক ভাড়া চাইতে গেলেই জেলের ঘানি টানানোর ভয় দেখাতেন। চার মাস পর আর সইতে না পেরে বাড়ির মালিক এক পুলিশকর্তার দ্বারস্থ হন। প্রাথমিক তদন্তের পর বিল্লাল হোসেন নামে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানার ওই পুলিশকর্মীকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে বহরমপুর পুলিশ লাইনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে ডোমকল থেকে ইসলামপুর থানায় বদলি হয়ে আসেন বিল্লাল হোসেন। প্রথমে মাস দেড়েক ইসলামপুর বাজারে একটি বাড়িতে ভাড়া ছিলেন তিনি। মাস চারেক আগে ইসলামপুর খানপাড়ায় মানজারুল আলির বাড়িতে ওঠেন সপরিবারে। মাসে ৩০০০ টাকা ভাড়ায় রফা হয়।
মানজারুল আলির কথায়, ‘‘বিঘা কয়েক জমি আর বাড়ি ভাড়া দিয়ে আমার সংসার চলে। ফলে মানুষ বুঝে ভাড়া দিতে হয়। উনি প্রথমে পুলিশের পরিচয় দেননি। মাসের শেষে টাকার কথা পাড়তে নিজের রূপ খোলেন। ভয় দেখান অত টাকা ভাড়া চাইলে নাকি আয়কর দফতরে ফাঁসিয়ে দেবেন।” তাতে দমে না গিয়ে ক’দিন পরপর ফের ভাড়ার জন্য তাগাদা দিতে থাকেন মানজারুল। অভিযোগ, এএসআই তখন তাঁকে জেলে পুরে দেওয়ার হুমকি দেন।
চার মাস পর ভাড়া আর বিদ্যুতের বিল মিলে ষোলো হাজার টাকার বেশি পাওনা হয়ে গেলে মানজারুল দেখা করেন জেলা পুলিশের এক কর্তার সঙ্গে। থানায় লিখিত অভিযোগও জানান তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। রবিবার ওই এএসআইকে ‘ক্লোজ’ করা হয়। ডোমকলের এসডিপিও অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর বিল্লাল হোসেনকে বহরমপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।”
দিন সাতেক আগে পরিবার নিয়ে মানজারুলের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন বিল্লাল। এদিন সকাল থেকে তাঁর মোবাইল বন্ধ থাকায় প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মানজারুলের আক্ষেপ, “পুলিশের উপরও পুলিশ আছে জেনে ভাল লাগল। কিন্তু বকেয়া টাকাটা তো আর পেলাম না। এই নিয়ে আশার কথা শুনতে পেলে আরও ভাল লাগত।”