ঝিলিক। —নিজস্ব চিত্র।
জন্মের পরেই মা ফেলে চলে গিয়েছে। তারপর থেকে একরত্তি অসুস্থ মেয়েটির জীবন কাটছে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালেই। হাসপাতালে নার্সরাই তার নাম রেখেছে ঝিলিক। সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত সাড়ে তিন বছরের ঝিলিককে কার্যক বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন হাসপাতালের নার্সরা।
এতদিন হাসপাতালে কাটালেও এখন ঝিলিকের একটা নিরাপদ, সুস্থ আবাস দরকার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও চাইছেন তাকে কোনও হোমে পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু কোথাও জায়গা হচ্ছে না। নদিয়ায় এই ধরণের শিশুদের উপযুক্ত কোনও হোম নেই। ঝিলিকের কথা জানেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজাও। তিনিও আশ্বাস দিয়েছেন।
চেনা গলায় নাম ধরে ডাকলে ঘাড়টা ঘোরানোর চেষ্টা করে ঝিলিক। মেজাজ ভাল থাকলে এক ঝলক হেসেও দেয় কখনও। নার্সদের পোশাক বদলানোর একটি ঘরে দিন কাটে ঝিলিকের। তার খাবার আর চিকিৎসার দায়িত্ব হাসপাতালের হলেও অন্যান্য প্রয়োজন সব মেটান নার্স আয়া থেকে শুরু করে সাফাইকর্মী সকলেই। পুজোর জামা থেকে গরমের পাউডার এসে যায় সময় মতো। নিয়ম মাফিক টিকা দেওয়ার কথাও ভুল হয় না।
নার্স শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস বলেন, “ঝিলিকের নিরাপত্তা নিয়েও আমরা চিন্তিত।” তা ছাড়া বিশেষ মানসিক চাহিদা সম্পন্ন শিশু হিসাবে ঝিলিকের বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন। সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “একাধিক বার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয় নি।” নদিয়া জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি রিনা মুখোপাধ্যায় বলেন, “কোথাও জায়গা পাচ্ছি না।” অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবকুমার নন্দন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy