প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
এক দশকের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর উদ্বোধন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এ বার তিনি আসেননি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের শারদ সম্মাননায়ও জায়গা হল না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো হিসেবে পরিচিত নাকতলা উদয়ন সংঘের।
এই পুজোর সঙ্গে দীর্ঘদিনই জড়িয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। সেই সূত্রেই তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে নাকতলা উদয়নের আয়োজন নজর কাড়ে গোটা রাজ্যের। নাকতলার প্রতিমা পাকাপাকি ভাবে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকারই।
শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর অবশ্য ভাটা পড়ে এ বারের আয়োজনে। শুধু তাই নয়, নাকতলার ‘থিম’ ও আয়োজনের প্রচারও ছিল না এ বার। উদ্বোধনের জন্য এ বারও ক্লাবের তরফে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি আসেননি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত মহিলাদের হাতেই উদ্বোধন সারেন উদ্যোক্তারা।
শনিবার ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানের জন্য মনোনীত কলকাতা ও রাজ্যের বাছাই করা পুজোর তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে সেই তালিকায় থাকলেও এ বার পার্থের সেই পুজো সেখানে জায়গা পায়নি।
এ নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলেননি। তবে সমগ্র ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। গ্রেফতারের পরে পার্থকে মন্ত্রিত্ব ও দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর পাশে দলের কেউ নেই, তা-ও স্পষ্ট করেছেন নেতৃত্ব। সে দিক থেকে পার্থের পুজো বলে পরিচিত নাকতলায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি থেকে শুরু করে পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ পড়া, সবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। উল্লেখ্য এই পুজো উদ্বোধনের মঞ্চেই পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পার্থের সঙ্গে এখন অর্পিতাও জেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy