নারদ মামলায় সিবিআই কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার পরে জেলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভনের সঙ্গে এক বার দেখা করতে দেওয়ার আবেদন করতে থাকেন তিনি।
সোমবার মাঝরাতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চার নেতা-মন্ত্রীকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের জেলের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার পরে গেটের বাইরেই আটকে দেওয়া হয় বৈশাখীকে। তিনি জেলের দরজা ধরে অনেকক্ষণ ধাক্কা মারেন। তার পরে গেট ধরেই বসে পড়েন। চিৎকার করে বৈশাখী বলতে থাকেন, ‘‘একবার দেখতে দিন। ওষুধটুকু খেতে দিন। ওঁর হাই সুগার। তবুও কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। অমানুষিক ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আপনাদের কোনও লজ্জাশরম নেই। আগে থেকে না জানিয়ে এক মহিলার বেডরুমে চার জন পুরুষ ঢুকে এলেন ওঁকে ধরার জন্য। আর এখন বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।’’
শোভনকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানে আইনজীবী নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। আর মাঝ রাতে যখন শোভনকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হল, সেখানে দেখা গেল বৈশাখীকে। যদিও শোভনের ছেলেও ছিলেন সেখানে।