ফাইল চিত্র।
পর্যটকেরা গত এক বছরে সুন্দরবনে বাঘের দেখা পেয়েছেন বারবার। মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, বাঘের হামলা বেড়েছে, মারাও গিয়েছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা বেড়েছে?
সুন্দরবনে বাঘ বেড়েছে না কমেছে, আজ, সোমবারেই তা জানা যাবে। আজ আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস উপলক্ষে দেশের বাঘশুমারির ফল ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগে বিভিন্ন রাজ্যই এই ঘোষণা করত। রিপোর্ট তৈরি করতেন জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (ন্যাশনাল টাইগার কনজ়ারভেশন অথরিটি বা এনটিসিএ)। কোটি কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় প্রাণী সংরক্ষণের যে-প্রকল্প রয়েছে, তা কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে, তা জানতে অপেক্ষা করছেন বন্যপ্রাণপ্রেমীরাও।
বন দফতরের এক কর্তা বলছেন, ‘‘আশা করছি, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা আগের বারের থেকে বাড়বে।’’ ২০১৪ সালের শুমারিতে সুন্দরবনে ৭৬টি বাঘের কথা জানানো হয়েছিল। এ রাজ্যে ব্যাঘ্র সংরক্ষিত বনাঞ্চল দু’টি। দক্ষিণের সুন্দরবন এবং উত্তরের বক্সা। তবে বক্সায় ক’টি বাঘ আছে বা আদৌ আছে কি না, সন্দিহান অনেকেই। বাঘ দেখতে না-পেলেও সেখানে রয়্যাল বেঙ্গলের পায়ের ছাপ মিলেছে। তা দেখেই বাঘের বসত রয়েছে বলে দাবি করেন বনকর্তারা। ২০১৪ সালের শুমারিতে উত্তরবঙ্গে তিনটি বাঘের কথা জানানো হয়েছিল।
২০১৪-র বাঘশুমারি অনুযায়ী দেশে সব থেকে বেশি বাঘ ছিল কর্নাটকে— ৪০৬টি। উত্তরাখণ্ডে ৩৪০ এবং মধ্যপ্রদেশে ৩০৮টি। ওই তিনি রাজ্য জায়গা ধরে রাখতে পারে কি না, সেটাও দেখার। এনটিসিএ-র তথ্য বলছে, ২০১৫-য় গোটা দেশে ১২টি বাঘ চোরাশিকারিদের লক্ষ্য হয়েছিল। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয় যথাক্রমে ২১ এবং ২৭। ২০১৮-য় ১৩টি চোরাশিকারের ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে লালগড়ে একটি বাঘকে মারা হয়েছিল। এ ছাড়াও ৫১টি বাঘের অপমৃত্যু হয়েছে। সেগুলি চোরাশিকার কি না, তা স্পষ্ট হয়নি এখনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy