Advertisement
E-Paper

আর্সেনিক প্রশ্নে রিপোর্ট তলব ক্ষুব্ধ আদালতের

আর্সেনিক দূষণের মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। রাজ্যের ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক দূষণ নিয়ে কলকাতায় জাতীয় পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:২৫

আর্সেনিক দূষণের মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। রাজ্যের ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক দূষণ নিয়ে কলকাতায় জাতীয় পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলায় গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যে আর্সেনিক দূষণের হাল ও তার মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব, পরিবেশ সচিব ও জনস্বাস্থ্য সচিবের রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। শুক্রবার মামলাটির শুনানি থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের তরফে কোনও রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি।

মামলাকারী সুভাষবাবু জানান, আর্সেনিক দূষণ রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এমন মামলায় সেপ্টেম্বর মাসে রিপোর্ট তলব করা হলেও সরকার পক্ষ তা দেয়নি। গুরুত্বপূর্ণ মামলার ক্ষেত্রে এমন গড়িমসিতেই অসন্তুষ্ট ট্রাইব্যুনাল।

১৯৮৪ সালে রাজ্যে আর্সেনিক দূষণের কথা সামনে এসেছিল। কিন্তু এই সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান গত ৩০ বছরেও হয়নি। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় এখনও আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে পারেনি রাজ্য সরকার। এখনও বিভিন্ন আর্সেনিক কবলিত এলাকায় মানুষের মৃত্যুও ঠেকানো যায়নি। ২০০৬ সালে প্রকাশিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় এ রাজ্যে কলকাতা-সহ ৯টি জেলার অন্তত ১১১টি ব্লক মারাত্মক ভাবে আর্সেনিকের কবলে পড়েছে। ২০০৯ সালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ভূগর্ভস্থ জল পর্ষদের একটি সমীক্ষায় আবার রাজ্যের ৭৯টি ব্লককে আর্সেনিক কবলিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুভাষবাবু এ দিন দাবি করেছেন, রাজ্যের জনস্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে আর্সেনিক কবলিত ব্লকের সংখ্যা ৭৯ থেকে বেড়ে ৮৩ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

পরিবেশ ও ভূ-জল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পানীয় জল নয়, আর্সেনিক দূষিত জল সেচের কাজে ব্যবহার করার ফলে ধানে আর্সেনিক ঢুকছে। দূষিত খড়ের মাধ্যমে গবাদি পশুর দেহ ও দুধেও আর্সেনিক ঢুকছে। খাদ্যশৃঙ্খলে আর্সেনিক ঢুকে পড়ায় আর্সেনিক কবলিত এলাকার বাইরে থাকা লোকজনও এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার একাংশে আর্সেনিকের উপস্থিতি টের পাওয়ার পাশাপাশি উত্তর শহরতলির অনেক এলাকাতেও আর্সেনিক দূষণের আশঙ্কা রয়েছে বলে গবেষকেরা জানাচ্ছেন।

সুভাষবাবু জানান, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার আরও ৯টি রাজ্যে আর্সেনিকের দূষণ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি এই মামলায় ওই রাজ্যগুলিকে জুড়তে চেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপঙ্কর চক্রবর্তীর একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে এ দিন ট্রাইব্যুনালে হলফনামা দাখিল করেছেন তিনি। আদালত তাঁকে এ ব্যাপারে নতুন করে একটি আর্জিপত্র পেশ করতে বলেছে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ২৬ নভেম্বর।

natinal green tribunal report arsenic pollution
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy