Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Naushad Siddiqui

ফাঁকা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করলেন নওশাদ সিদ্দিকি

১২ হাজার আসন বিশিষ্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম পুরোটাই খালি রইল। নেতা-কর্মী সমর্থকদের জন্য সমাজমাধ্যমে সভার সম্প্রচার করলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ছোট নেতারা।

Naushad Siddiqui celebrated the foundation day of ISF at the empty Netaji Indoor Stadium.

রবিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় আইএসএফ নেতৃত্ব। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫১
Share: Save:

আদালতের নির্দেশে ধর্মতলায় প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা করতে পারেনি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। বদলে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এক হাজারের কম কর্মী নিয়ে নেতজি ইন্ডোরে সভা করতে হবে। কিন্তু রবিবার নেতাজি ইন্ডোরে আয়োজিত সভা হল কেবলমাত্র ২০ জন নেতাকে নিয়ে। সভার যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আদালত, সেই সময়সীমা বেঁধেই তা শেষ করলেন দলের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি।

১২ হাজার আসন বিশিষ্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম পুরোটাই খালি রইল। নেতা-কর্মী সমর্থকদের জন্য সমাজমাধ্যমে সভার সম্প্রচার করলেন দলের ছোট নেতারা। ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মেঝেতে শতরঞ্চি পেতে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এমন সভা করার কারণ প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, ‘‘আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর আমরা এক হাজারের কম কর্মী সমর্থক নিয়ে সভার আয়োজন করছিলাম। কিন্তু পরে আমরা জানতে পারি, যে পুলিশের পক্ষ থেকে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মনে হয় আমরা আদালত অবমাননা করেছি। তাই দলীয় কর্মীরা যাতে আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত না হন, তাই আমরা রাজ্য কমিটির ২০ জন নেতাকে নিয়ে সভা করলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আদালত অনুমোদন দেয়নি। কোর্ট যা যা বলেছিল তা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছি। কিন্তু আগামী দিনে এই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই আমরা সভা করব। আদালতের নির্দেশ আমরা মানবই। আইনের প্রতি আমাদের ভরসা আছে। আমাদের খারাপ লাগছে। কারণ, গত দু’মাস ধরে কলকাতায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের জন্য আপনারা লড়াই করেছিলেন। কিন্তু হয়নি। আগামী দিনে আমরা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করব।’’

সভার শেষ বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করতে উঠে নওশাদ আগাগোড়া আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ‘‘আমি তো ডায়মন্ড হারবার আসনের জন্য মনোঃসংযোগ করে রেখেছি। ভাইপোকে হারিয়ে কালীঘাটে পাঠাব। কাশফুলের বালিশ তৈরি করবে। আর ২০২৬ সালে পিসিকে নবান্ন থেকে নামিয়ে ঢপের দোকানের মালিক বানিয়ে ছাড়ব। চপ নয়। ঢপ এর দোকানের। কারণ, উনি এত ঢপ দেন।’’ নওশাদ আরও বলেন, ‘‘আমাকে ছ’মাসের জন্য অর্থ দফতরের দায়িত্ব দিন। আমি ছ’মাসের মধ্যে রাজ্যে আর্থিক হাল বদলে দেব। পরের দিন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। না হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। আসলে সবকিছু করতেই সদিচ্ছার প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের তো কোনও সদিচ্ছাই নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE