Advertisement
২৯ মার্চ ২০২৩
Dilip Ghosh

Dilip Ghosh: ফের গোদুগ্ধে প্লাবিত দিলীপের ফেসবুক, সোনার খনি খুঁড়ে দিয়েছেন ‘ঘোষ’ নিজেই

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ‘গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে’ মন্তব্য করে বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন দিলীপ। এ বার অবশ্য তেমন কিছু বলেননি।

দিলীপ ঘোষের গো-সেবা।

দিলীপ ঘোষের গো-সেবা। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ১৪:১৬
Share: Save:

২০২১ সালের জুনে দিলীপ ঘোষের ফেসবুক পেজ এবং টুইটার হ্যান্ডলে ফিরে এল ২০১৯ সালের নভেম্বর। সেই সময় ‘গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে’ মন্তব্য করে বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন দিলীপ। এ বার অবশ্য সেই রকম কোনও মন্তব্য করেননি দিলীপ। মঙ্গলবার ১ জুন ছিল বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। সেই উপলক্ষ্যে একটি নির্দোষ পোস্ট করেন দিলীপ। লেখেন, ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যকে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই হোক লক্ষ্য’। কিন্তু তাতেই ‘দুধ ও সোনা’ প্রসঙ্গে ভেসে যায় ফেসবুক ও টুইটার। কটাক্ষ আর বিদ্রুপ বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে মনে করাল বছর দেড়েক আগের নেটমাধ্যমে কটাক্ষকে।

Advertisement

সেই সময় দিলীপ বর্ধমান শহরের টাউনহলে ‘ঘোষ এবং গাভীকল্যাণ সমিতি’র সভায় বলেছিলেন, ‘‘গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে। তাই দুধের রং হলুদ হয়।’’ এমন ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন যে, ‘‘দেশি গরুর কুঁজের মধ্যে স্বর্ণনাড়ি থাকে। সূর্যের আলো পড়লে, সেখান থেকে সোনা তৈরি হয়।’’ দিলীপের সেই ‘তত্ত্ব’ শুনে বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল। তার প্রভাব পড়েছিল নেট মাধ্যমেও। রসিক মন্তব্য থেকে ‘মিম’ আক্রমণে ভরে উঠেছিল নেটমাধ্যম।

‘দিলু পাতন প্রক্রিয়া’-সহ কটাক্ষ-শ্লেষে ভরা নানা পোস্ট ছেয়ে যায়, ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো যাবতীয় নেটমাধ্যমে। ব্যঙ্গবিদ্রুপের বন্যা রুখতে দেড় দশক আগে পোল্যান্ডের একটি পরিবেশ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র সামনে আনেন দিলীপ। তাতেও রক্ষা পাননি তিনি।

এ বারেও সেই এক পরিণতি। তবে টুইটারের তুলনায় বেশি আক্রমণ ফেসবুকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই খবর লেখা পর্যন্ত ফেসবুকে ওই পোস্টে ‘লাইক-লাভ-হাহা’ প্রতিক্রিয়াপড়েছে ১৫ হাজারের বেশি। ৩৮০টি শেয়ার এবং ১,২০০-র বেশি মন্তব্য। আর সেই মন্তব্যের কয়েকটি নমুনা দিলেই বোঝা যাবে একটা ‘নিরীহ’ পোস্ট করে কতটা বিড়ম্বনায় দিলীপ। একজন লিখেছেন, ‘ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রীর বদলে, প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী করা হবে। যত মেডিক্যাল কলেজ আছে, সেগুলোকে বাতিল করে, গো চিকিৎসালয় বানানো হবে, তৈরি হবে রাজপথের পাশে উন্নতমানের গরু খাটাল, গরুর উন্নতি হলেই তো মানুষের উন্নতি রে ভাই, বিখ্যাত গো বিজ্ঞানী দিলুদা, এটাই তো সবাইকে বোঝাচ্ছেন’। আর এক জনের রসিক প্রশ্ন, ‘এত দিনে কত সোনা বার করলেন গরুর দুধ থেকে’? অনেক অশ্লীল কু-কথাও রয়েছে তবে এক রসিকের প্রস্তাব, ‘দুধ মানুষের কাছে না পৌঁছে দিয়ে ওই দুধ থেকে সোনা বের করলে আরও বেশি লাভবান হবে বলে মনে হয়’। আর একজন লিখেছেন, ‘গরুর দুধের সোনা রফতানিতে যে দিন ভারত প্রথম স্থান অধিকার করবে, সে দিন এই পোস্ট সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হবে’।

Advertisement

বিভিন্ন সময়ে দিলীপ প্রকাশ্যে এমন দাবি করেছেন যে, স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে তিনি গো মূত্র পান করেছেন। এ বারের পোস্টে সে প্রসঙ্গ না থাকলেও গরু ও সোনা শ্লেষের পাশাপাশি গো-চোনা নিয়েও কটাক্ষের মুখে পড়েছেন দিলীপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.