বিপি গোপালিক এবং রাজীব কুমার। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তৎপর হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। এর আগে জাতীয় মহিলা, শিশু ও তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি ঘুরে গিয়েছে। এ বার সেখানে যাবে কমিশনের প্রতিনিধি দলও। সেই সঙ্গে সন্দেশখালিতে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক এবং ডিজি রাজীব কুমারকে নোটিসও ধরিয়েছে কমিশন। রাজ্যের দুই শীর্ষ কর্তার থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে।
জাতীয় মহিলা ও তফসিলি কমিশন সন্দেশখালি ঘুরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেছিল। তা নিয়ে জোর বিতর্ক হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে সব অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তিতে এ বার পদক্ষেপ করল মানবাধিকার কমিশন। তাদের বক্তব্য, সন্দেশখালিতে মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার খবর তারা সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছে। দিনের পর দিন সেখানে মহিলাদের উপর নির্যাতন ও যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। এলাকার মানুষেরা এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করলেও স্থানীয় প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করেনি। এ সবই তারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছে। তার ভিত্তিতেই ডিজি ও মুখ্যসচিবকে নোটিস ধরানো হয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, দুই কর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডে তারা এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে। স্থানীয়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কী কী করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি ঘুরে দেখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশনের এক সদস্যের নেতৃত্বে শীঘ্রই একটি প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যাবে বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy