নীলাদ্রি দাস। ছবি: সংগৃহীত।
শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন শিক্ষক নিয়োগ দু্র্নীতি মামলায় ধৃত নীলাদ্রি দাস। ৩০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। নীলাদ্রিকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) বিকৃত, নম্বর হেরফের করার অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবার তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত আদালতে জানিয়েছেন, এখানে নীলাদ্রির সংস্থার কোনও ভূমিকা নেই। তাই সব দিক বিচার-বিবেচনা করে বিচারক তাঁকে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন দেন।
সিবিআইয়ের দাবি, যে সংস্থার উপরে নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব বর্তেছিল, সেই নাইসা-র আধিকারিক ছিলেন নীলাদ্রি। অভিযোগ, তিনি ‘ঘুরপথে’ টাকা তুলতেন। কিন্তু কখনওই নগদে লেনদেন করতেন না। সিবিআইয়ের দাবি, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগসাজশে ২০১৫ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন নীলাদ্রি। নাইসার আধিকারিক পদে থেকেও নীলাদ্রি ২০১৫ সালেই উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ‘এনডি ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে অন্য একটি সংস্থা খুলেছিলেন। নাইসার পাশাপাশি ওই সংস্থার মাধ্যমেও ‘ওএমআর শিট’ বা উত্তরপত্রের নম্বর বিকৃত করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
সিবিআই সূত্রের খবর, নীলাদ্রি নিজের ‘মিডলম্যান’ বা দালালদের নিয়ে একটি দল তৈরি করেছিলেন। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তাঁর ন’জন দালাল সক্রিয় ছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ন’জনের সঙ্গে আরও অন্তত ৫০ জন দালালের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। শিক্ষা ছাড়াও রাজ্য পুলিশ, খাদ্য দফতর, রেল ও সেনাবাহিনীতে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি কালো টাকা লুটের অভিযোগও উঠেছে নীলাদ্রির বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy