২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনআইওএস ডিএলএড (যাঁরা দূরশিক্ষায় ডিএলএড পাশ করেছেন) চাকরিপ্রার্থীরাও অংশগ্রহণ করতে পারবেন। জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীকে সেই সুযোগ করে দিল উচ্চ আদালত। শুক্রবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ, এই বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সকল মামলাকারীকেই সুযোগ দেবে। আদালত আরও জানিয়েছে, অবিলম্বে ওই প্রার্থীদের নথি যাচাইয়ের কাজ করবে পর্ষদ।
প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য দু’বছরের ডিএলএড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। আবার প্রাথমিকের অনেক চাকরিপ্রার্থী ওপেন স্কুল থেকে ১৮ মাসের ওই কোর্স করেন। ১৮ মাসের কোর্স বৈধ কি না, তা নিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সম্প্রতি শীর্ষ আদালত রায় ঘোষণা করে জানায়, ২০১৭ সালের আগে ইন-সার্ভিস প্রার্থীদের জন্য ওই কোর্স বৈধ। তাঁদের ক্ষেত্রে ২৪ মাসের পরিবর্তে ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ থাকলেই হবে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের মামলায় যুক্ত প্রায় ১২০০ জনকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেয় পর্ষদ। বাকিরা ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ না পাওয়ায় হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে বাকিদেরও সুযোগ করে দিল হাই কোর্ট।
বিচারপতি ভট্টাচার্য জানান, পর্ষদ ওই সব চাকরিপ্রার্থীদের অন্যান্য সমস্ত নথি যাচাই করবে। সেখান থেকে যোগ্যদের বাছাই করে মেধাতালিকা (প্যানেল) তৈরি করবে। মেধাতালিকায় থাকা প্রার্থীদের নিয়োগে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করবেও পর্ষদ।
একই আবেদন জানিয়ে এনআইওএস ডিএলএড চাকরিপ্রার্থীদের কয়েকশো মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। শুক্রবার সব মামলা একত্রে শুনানি হয় আদালতে। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিম, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এবং শুভ্রপ্রকাশ লাহিড়ি।