গত বেশ কয়েক দিন ধরেই ১৫ ডিগ্রির ঘরে রয়েছে কলকাতার পারদ। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। পিছিয়ে নেই উত্তরবঙ্গও। দার্জিলিঙের পার্বত্য এলাকায় পারদ নেমেছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী সাত দিন এমনই এমনই থাকবে আবহাওয়া। সঙ্গে উত্তুরে হাওয়ায় শীতের আমেজ ভাল মতোই অনুভূত হবে। তবে এখনই জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকলেও আপাতত পারদ ওঠানামার বিশেষ সম্ভাবনা নেই আগামী কয়েক দিনে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এ ছাড়া, উত্তর-পশ্চিম ভারতে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা রয়েছে। সঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্তও রয়েছে জম্মু কাশ্মীর এলাকায়। শনিবার নতুন করে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢোকার কথা। পশ্চিমবঙ্গেও আপাতত উত্তুরে হাওয়ার গতি অবাধ। ফলে আপাতত শীতের আমেজে ভাটা পড়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে রাজ্যে নতুন করে পারদপতনেরও পূর্বাভাস নেই। কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিশেষ হেরফের হবে না। রাজ্যে কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। ভোরের দিকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় কুয়াশার দাপট চলতে পারে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ৯৯৯ থেকে ২০০ মিটারে নেমে যেতে পারে। ভোরের দিকে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলিতেও।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৪ ডিগ্রি কম। এ ছাড়া, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে কল্যাণীতে ১১.৫, বর্ধমানে ১১, শ্রীনিকেতনে ১০.৪ এবং বাঁকুড়ায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে পারদ। উত্তরের জেলাগুলিতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নেমেছে। দার্জিলিঙে ৬.৪ ডিগ্রি, জলপাইগুড়িতে ১১.৬ ডিগ্রি, আলিপুরদুয়ারে ১০ ডিগ্রি, কালিম্পঙে ১০ ডিগ্রি এবং কোচবিহারে ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।