হাওড়া স্টেশনে হাজির বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নিজস্ব চিত্র।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেও বঙ্গের প্রথম ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ যাত্রীদের জন্য খুলবে নতুন বছরেই। তবে কবে তা এখনও জানাতে পারেননি রেল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ছাড়া সপ্তাহে ছ'দিন চলবে ট্রেন। আধুনিক প্রযুক্তির সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে রাখতে রেলের তরফে অন্তত এক পিঠে যাত্রার সময় আধ ঘণ্টা কমানোর চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে আরও এক ঘন্টা সময় বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে রেল সূত্রে খবর। সে-জন্য খানা থেকে গুমানি এবং মালদহ থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে ট্রেনটির গতিবেগ কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
তবে বঙ্গের বন্দে ভারতের বৈশিষ্ট্য মেনুতে। বাঙালি রুচির কথা ভেবে এখানে আমিষও ঠাঁই পাচ্ছে। নববর্ষ, দুর্গাপুজোর বিশেষ মেনুর পরিকল্পনা হচ্ছে। যাত্রার শুরুতে বিশেষ শ্রেণিতে থাকতে পারে ডাবের জলের আপ্যায়ন। চা কফি থাকবে। বাসমতি চালের ভাত, থকথকে ডাল, তরকারি, মাছের ঝোল, চিকেন, ফিশ ফ্রাই ঘুরে ফিরে থাকবে। খাবার ঠান্ডা বা গরম থাকার ব্যবস্থা থাকবে।
প্রথম দু'টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের তুলনায় বাংলারটিতে রেকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তার বিবিধ সুবিধা থাকছে। ট্রেনে থাকবে ১০৬টি সিসি ক্যামেরা। এলিয়ে বসার আসনের নীচে সবার নিজস্ব মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট বা বই পড়ার আলো। খাবার সুবিধা অনুযায়ী গরম এবং ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা থাকছে। প্রতি কামরায় ৩২ ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে সিস্টেম, বিপত্তির সময়ে চালকের সঙ্গে কথা বলার ‘টক ব্যাক’ ব্যবস্থা থাকছে। বিমানের মতো ভ্যাকুয়াম শৌচাগারও থাকছে। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য হুইলচেয়ার ঢোকার বড় শৌচালয়ও থাকছে। ট্রেনের সামনে জ্বলবে লাল, সবুজ আলো। পতাকার বদলে ওই আলোর সঙ্কেতেই স্টেশন পেরিয়ে যাবে ট্রেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy