প্রতীকী ছবি।
বৈধ কাজগপত্র ছাড়াই লরিতে করে পাচার করা হচ্ছিল দু’টি হাতি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুই বন্যপ্রাণীকে উদ্ধার করেছেন বন দফতরের কর্মীরা। ঘটনায় জড়িত তিন পাচারকারীকেও আটক করা হয়েছে।
বন দফতরের আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল, ভুয়ো কাগজপত্র বানিয়ে অরুণাচল প্রদেশ থেকে গুজরাতে পাচার করা হচ্ছে দু’টি হাতি। তাই রবিবার সন্ধ্যা থেকেই তিস্তা চেকপোস্টে নাকা চেকিং শুরু করেন বন দফতরের কর্মীরা। সে সময়ই উদ্ধার হয় হাতি দু'টি।
লরি আটকে হাতি নিয়ে যাওয়ার সরকারি অনুমতি দেখতে চান বন দফতরের আধিকারিকরা। অভিযুক্তদের দেখানো কাগজ সন্তুষ্ট করতে পারেনি বনকর্মীদের। তখনই লরিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবং পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটকও করা হয়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া হাতিগুলিকে রবিবার রাতেই গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পিলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাতি উদ্ধার নিয়ে বন বিভাগের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের এডিএফও রাহুল মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘সূত্র মারফত আমরা জানতে পারি, দু’টি হাতিকে অবৈধ ভাবে পাচার করা হচ্ছে। এর পর তিস্তা চেকপোস্টে নাকা চেকিং শুরু করি। সেখান থেকেই হাতি দু’টিকে উদ্ধার করা হয়েছে।’’ লরিতে থাকা ব্যক্তিদের কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁদের মধ্যে এক জন অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার কাছে বৈধ কাগজ আছে। অসমের বন দফতরও আমাদের আটক করেছিল। কিন্তু পরে কাগজ দেখে ছেড়ে দিয়েছে।’’ এর আগেও একই কায়দায় বন্যপ্রাণী পাচারের চেষ্টা রুখে দিয়েছিলেন বন দফতরের কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy