E-Paper

হাতির হানা, জ্বালানি জোগাড়ে গিয়ে মৃত ৩

আলিপুরদুয়ারের কালচিনির দক্ষিণ মেন্দাবাড়ির বাসিন্দা দশ-বারো জন মহিলা দু’টি দলে ভাগ হয়ে চিলাপাতার জঙ্গলে যান।

সৌম্যদ্বীপ সেন

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:২০
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এলাকায় হাতির দল ঘুরছে। তারা গ্রামেও ঢুকে পড়তে পারে বলে বন দফতরের সতর্কবার্তা ছিল। তার মধ্যেই জঙ্গলে জ্বালানি কাঠ জোগাড়ে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হল তিন মহিলার। জখম আরও এক জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের চিলাপাতা জঙ্গলের দক্ষিণ মেন্দাবাড়ির ঘটনা। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলের কাছেই হাতির হানায় এক মোটরবাইক আরোহীও জখম হন। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পরভীন কাসোয়ান বলেন, “আমরা জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের হাতির গতিবিধি নিয়ে বার্তা পাঠাতে থাকি। তার পরেও হাতির হানায় তিন জনের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।”

আলিপুরদুয়ারের কালচিনির দক্ষিণ মেন্দাবাড়ির বাসিন্দা দশ-বারো জন মহিলা দু’টি দলে ভাগ হয়ে চিলাপাতার জঙ্গলে যান। বন দফতরের দাবি, তাঁদের অনেকে গভীর জঙ্গলে ঢুকে পড়েন। সেখানে বুনো হাতি চার জনের উপরে হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রেখা বর্মণ (৪৫), চাঁদমণি ওরাওঁ (৪৬) এবং সুকরমণি কাছুয়ার (৫০)। জখম হয়েও নিরাপদ জায়গায় সরে যান নিমা চারোয়া নামে আরও এক মহিলা। বাকিরা পালান।

আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি নিমার দাবি, “বিরাট চেহারার হাতি আমাদের উপরে আক্রমণ করে। পড়ে যাই। সে অবস্থায় দেখি, হাতিটা দুজনের উপরে বার বার আক্রমণ করছে।” বন দফতরের একটি সূত্রের দাবি, ওই এলাকায় একটি হস্তিশাবক সম্প্রতি আহত হয়েছিল। আক্রোশের বশে মা-হাতি এই কাণ্ড ঘটাতে পারে। তবে বনাধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, একাধিক হাতি এই ঘটনার পিছনে রয়েছে।

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বলেন, “মনে হচ্ছে, বন দফতরের সতর্কবার্তায় খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন না গ্রামবাসীরা। বিষয়টা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalchini

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy