এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচবিহার জেলার একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হল তিন বৃদ্ধকে। অভিযোগ, চার-পাঁচ মাস ধরে ১৫ বছরের ওই নাবালিকাকে ষাটোর্ধ্ব তিন প্রতিবেশী ধর্ষণ করে। সে কথা বাড়িতে জানালে নির্যাতিতাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সামনে আসে বিষয়টি। রবিবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করে মেয়েটির পরিবার। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, নির্যাতিতা পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা জানিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পকসো আইনে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতেরা পুলিশের কাছে অভিযোগ স্বীকার করেছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই নাবালিকার বাবা-মা খেতমজুরের কাজ করেন। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে নাবালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ করে পড়শি এক বৃদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে খুনের হুমকি দেওয়া হয় কিশোরীকে। অভিযোগ, এই ঘটনার কথা তার এক পরিচিতকে জানায় প্রথম অভিযুক্ত। এর পরে দ্বিতীয় জনও ওই নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে কখনও তার বাড়িতে ডেকে, কখনও লাগোয়া জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই দুই অভিযুক্ত মিলে এর পরে তৃতীয় এক ব্যক্তিকে বিষয়টি জানায়। এর পরে সে-ও ওই নাবালিকাকে বিভিন্ন সময়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, গত চার-পাঁচ মাস ধরে নাবালিকাকে লাগাতার নির্যাতন করে তিন জন। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। মেয়েটির পরিবার সূত্রের দাবি, মেয়ের শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখে তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়। তখনই জানা যায়, সে প্রায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। রবিবার থানায় যায় নাবালিকার পরিবার। এর পরেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)