E-Paper

অটো নিয়ে গুরুগ্রামে ৩৫ শ্রমিক

কিছু দিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন।

গৌর আচার্য 

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ০৮:৫৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ইটাহার থেকে অটো চালিয়ে হরিয়ানার গুরুগ্রামে রওনা দিলেন ৩৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের কয়েক জনের সঙ্গে রয়েছেন পরিবারের লোকেরাও। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ইটাহার চৌরাস্তার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁরা রওনা হন। হরিয়ানায় পুলিশের অত্যাচারের আশঙ্কায় মাসখানেক আগে তাঁরা অটো চালিয়ে গুরুগ্রাম থেকে ইটাহারের বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে ফেরেন। তাঁরা সকলেই দীর্ঘ দিন ধরে গুরুগ্রামে অটো চালান।

কিছু দিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। ওই প্রকল্পে ভিন্ রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকেরা এ রাজ্যে ফেরার পরে তাঁদের এক বছর পর্যন্ত মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পুনর্বাসন-ভাতা ও এককালীন পাঁচ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন। এই পরিস্থিতিতে, ওই ৩৫ জন শ্রমিক অটো চালিয়ে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে গুরুগ্রামে কেন ফিরে গেলেন, উঠেছে সেই প্রশ্ন। ইটাহারের কাপাসিয়ার বাসিন্দা এক পরিযায়ীর স্ত্রী রুকসানা বিবির দাবি, “মাসে পাঁচ হাজার টাকায় সংসার ও দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচ ওঠা সম্ভব নয়। গুরুগ্রামে স্বামী অটো চালান। আমি পরিচারিকার কাজ করি। এলাকায় কাজ নেই। সংসার চালানোর খরচ জোগাতেই স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে অটোয় গুরুগ্রামের উদ্দেশে রওনা হতে বাধ্য হলাম।”

গুরগ্রামে পথে যাওয়া ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ইটাহারের কাপাসিয়া, রাধানগর, কামারডাঙা, ঘেরা-সহ নানা এলাকায়। কামারডাঙার মুস্তাক আলি, মিঠুন শেখ ও কাপাসিয়ার জাফর আলির অভিযোগ, মাস দেড়েক আগে গুরুগ্রামে বাংলাভাষীদের উপরে বাংলাদেশি সন্দেহে পুলিশের অত্যাচার চলছিল। জাফর বলেন, “সে সময় হরিয়ানা পুলিশ বাংলাভাষী শ্রমিকদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ বিভিন্ন পরিচয়পত্রকে মান্যতা দিচ্ছিল না। তাই, পুলিশের অত্যাচারের আশঙ্কায় অটো চালিয়ে গত ২৬ জুলাই এলাকার ফিরি। এ বারে এ রাজ্যের পুলিশের ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট’ নিয়ে গুরুগ্রামে ফিরছি।” ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেনের দাবি, “রাজ্য সরকারের সাধ্যমতো পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে কাজে যেতে চাইলে, তা তাঁদের নিজস্ব বিষয়।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Haryana

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy