৬ তলা থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ছাত্রের। নিজস্ব চিত্র।
রাজস্থানের কোটায় ছাত্রাবাসের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রের। মৃতের নাম ইশানু ভট্টাচার্য। বয়স ২০। তিনি ধূপগুড়ির বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃস্পতিবার রাতে ইশানু ভট্টাচার্য বন্ধুদের সঙ্গে বারান্দার কাছে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। বারান্দায় হেলান দিতে গিয়ে আচমকা লোহার গ্রিলের রেলিং খুলে যায়। ৬ তলা থেকে নীচে পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ইশানু ভট্টাচার্যের বাবা বাপি ভট্টাচার্য ধূপগুড়ি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বাপি এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়ে কিসানগঞ্জে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছেলেকে রাজস্থানের কোটায় একটি কলেজে ভর্তি করেছিলেন তিনি। সেখানেই ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
ঘটনার খবর রাতেই পৌঁছয় ইশানুর পরিবারের কাছে। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। পরিবারের সূত্রের খবর, ছেলেটি পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষবার তাঁর মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তারপর আর কোনও কথা হয়নি। প্রতিদিন রাতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন ইশানু। কিন্তু এদিন আর ফোন করেননি। এই ঘটনায় পরিবারের পাশাপাশি গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে কোটা পুলিশের হাতে এসেছে। তারপরেই, বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। বারান্দার কাছে থাকা রেলিং কী করে খোলা ছিল? সেই খোলা রেলিং দেখাশোনা করার দায়িত্ব কার? সেখানকার স্থানীয় পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও পুলিশের দাবি, এটা নেহাতই একটা দুর্ঘটনা। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য নেই।
মৃতের প্রতিবেশী মামনি সাহা বলেন, “পড়াশোনায় বরাবরই ভাল ছিল ইশানু। রাতে তাঁর পরিবারের কাছে খবর আসে যে তাঁদের ছেলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। পরিবারকে প্রথমে জানানো হয়নি যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পড়ুয়ার। পরে তাঁর পরিবার জানতে পারে যে ছেলের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর গোটা পরিবার কান্নায় ভেঙে পরেছে। গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy