Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
UNESCO

‘স্বীকৃতি’র আনন্দে মিছিল

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি ছিল। দুপুরে আকাশ পরিষ্কার হতেই শোভযাত্রা বেরোয় শিলিগুড়িতে। কয়েক হাজার মানুষ শোভাযাত্রায় যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারাও ছিলেন।

ঐতিহ্য: শোভাযাত্রায় দেখা মিলল পাল্কিতে বসা দুর্গারও। নিজস্ব চিত্র।

ঐতিহ্য: শোভাযাত্রায় দেখা মিলল পাল্কিতে বসা দুর্গারও। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:১২
Share: Save:

‘ইউনেস্কো’-কে ধন্যবাদ জানিয়ে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি দুই শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হল বৃহস্পতিবার। জলপাইগুড়িতে এ দিন মিছিলে একটি বাংলাদেশি পরিবারকেও শামিল হতে দেখা গিয়েছে। দুর্গাপুজোর এক মাস আগে দুই শহরেই রীতিমতো উৎসবের মেজাজে মাততে দেখা যায় সবাইকে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি ছিল। দুপুরে আকাশ পরিষ্কার হতেই শোভযাত্রা বেরোয় শিলিগুড়িতে। কয়েক হাজার মানুষ শোভাযাত্রায় যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারাও ছিলেন।

সমতলের পাশাপাশি, এ দিন পাহাড়ের নেপালি সম্প্রদায়ের মানুষও শোভাযাত্রায় পা মেলান। দেশবন্ধুপাড়ার তরাই স্কুলের সামনে থেকে দুপুর আড়াইটে নাগাদ শোভাযাত্রা বের হয়। মিছিলের আগে, শিলিগুড়ি পুলিশের ‘উইনার্স’ বাহিনী ছিল। এর পরেই পুরসভার তরফে মেয়র, কাউন্সিলরেরা উপস্থিত হন। শহর ও মহকুমার বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরাও ছিলেন। এ ছাড়া, সুসজ্জিত ট্যাবলো ছিল। বিভিন্ন ট্যাবলোর মাধ্যমে দুর্গাপুজো, গ্রামবাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। শোভযাত্রা শেষে বাঘাযতীন পার্কে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।

মেয়র গৌতম দেবের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনব চিন্তাভাবনার ফসল এই শোভাযাত্রা। সকলে পুজো আসার আগে আবেগে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। পাহাড় থেকে সমতল, সকল এলাকার মানুষ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় এসেছেন। বিভিন্ন জাতির মানুষ এ দিনের শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছেন। বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে।”

জলপাইগুড়ির মিছিলে শামিল হয়েছিলেন বাংলাদেশি নাগরিকেরাও। জলপাইগুড়ির জামতলার বাসিন্দা তুলসী সূত্রধরের বাড়িতে ঢাকা থেকে সপরিবার বেড়াতে এসেছেন রতন সূত্রধর। তিনি, তাঁর স্ত্রী রেণু সূত্রধর, মেয়ে দোলন এবং ছেলে হৃদয় সকলেই স্থানীয় পুজো কমিটির সঙ্গে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। প্রতিবন্ধী দোলন হুইলচেয়ার নিয়ে মিছিলের সঙ্গী হন। শোভাযাত্রায় কোনও এক পুজো কমিটি নিয়ে এসেছিলে পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য শিল্পীদের।

কেউ আবার এসেছিলেন ঢাক নিয়ে। এক পুজো কমিটি আবার পাল্কিতে দুর্গা সাজিয়ে নিয়ে এসেছিল। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের উপভোক্তারা ছিলেন শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রায় অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি পুরসভার কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শোভাযাত্রার কারণে এ দিন রাস্তায় যানজটে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। অসুস্থ প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘লাঠি হাতে হেঁটে যেতে হচ্ছে।’’ জেলাশাসক বলেন, ‘‘উৎসবের মেজাজেই মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। শৃঙ্খলা বজায় রেখেই শোভাযাত্রা হয়েছে জলপাইগুড়িতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

UNESCO Siliguri jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE