তৈরি হচ্ছে মিন্টু রায়ের জাহাজবাড়ি। — নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নিজবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু রায়। পেশায় কৃষক মিন্টু শখ পূরণ করতে বহু দিন আগে শুরু করেছিলেন টাইটানিকের আদলে জাহাজবাড়ি তৈরির কাজ। এক সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। তাই স্বপ্নকে বাস্তবে ফুটিয়ে তুলতে নিজেই ছবি এঁকেছেন জাহাজবাড়ির। ধরেছেন কর্নিকও। দীর্ঘ সময় পর এখন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে মিন্টুর স্বপ্ন। আরও কিছুটা কাজ বাকি টাইটানিক তৈরির। মিন্টুর আশা, হাতে আর কিছুটা পয়সা এলেই শেষ হয়ে যাবে বাকি কাজ।
বছর পঁয়তাল্লিশের মিন্টু এক সময় রাজমিস্ত্রির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ কাল নেপালে থেকে শেখেন সেই কাজ। এর পর বাড়ি ফিরে ১২ বছর আগে নিজের বাড়ির উঠোনে শুরু করেন নিজের পরিকল্পনা মতো জাহাজবাড়ি তৈরির কাজ। ধীরে ধীরে তৈরি হয় কংক্রিটের জাহাজ। পেশায় কৃষিজীবী মিন্টু। সেই আয় থেকেই চলছে তাঁর জাহাজবাড়ি নির্মাণের কাজ। তাঁর দাবি, শক্ত মাটিতে টাইটানিকের আদলে বাড়ি গড়তে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। মিন্টুর বক্তব্য, ‘‘আমার বহু দিনের ইচ্ছে ছিল যে, এমন জাহাজবাড়ি তৈরি করব। পরিবারের লোক জন আমার সঙ্গে রয়েছে বলেই এত দূর এগিয়েছি। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। আরও বছর দুয়েক সময় লাগবে। যখন যেমন অর্থ হাতে আসে তেমন কাজ করি।’’ মিন্টুর ইচ্ছা, এই জাহাজবাড়িতে তিনি গড়ে তুলবেন রেস্তরাঁ।
ফাঁসিদেওয়ার মহানন্দ বণিক নামে এক রাজমিস্ত্রি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কথায়, ‘‘ছবি আঁকা থেকে শুরু করে পরিকল্পনা— উনি নিজেই সব করেছেন। আমরা শুধু কাজ করছি। উপরে কেবিন করার ভাবনাও রয়েছে। বহু বছর ধরেই কাজ চলছে। এখনও অনেকটা বাকি।’’
মিন্টুর জাহাজবাড়ির কথা শুনে রাজ্যের ইকো ট্যুরিজম দফতরের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, ‘‘আমরা অবশ্যই চাই এটা হোক। যে কোনও ধরনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তা ওঁকে করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy