জাতীয় সড়কের ধারে প্রতিদিন সকালে বাজার বসে. সপ্তাহে দু’দিন বসে বড় হাট। জাতীয় সড়কের ডানদিক ও বাঁদিক চিরে মালদহ ও বালুরঘাটগামী দু’টি রাস্তা চলে গিয়েছে। হাইস্কুল, প্রাথমিক স্কুল, পঞ্চায়েত অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ একাধিক সরকারি দফতর থাকায় বাসিন্দাদের ভিড় লেগেই থাকে। তাই দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাসিন্দারা।
যান নিয়ন্ত্রণের কাজে নজরদারি ও এলাকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় একটি স্থায়ী পুলিশক্যাম্প বসানোরও দাবি তুলেছিলেন বাসিন্দারা। পুলিশ বাসিন্দাদের সেই দাবি মেনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে শুক্রবার সকালে বৈদড়া চেকপোস্ট এলাকায় দোকানে ট্রাক ঢুকে চারজনের মৃত্যু হত না বলে বাসিন্দাদের দাবি। ওই দুর্ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগে সরব হন মৃতদের পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশিরা। শুধু তাই নয়, এ দিন দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সরব হতে দেখা যায় শাসক দলের নেতা ও কর্মীদেরও।
জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, তিনি নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের ব্যস্ততম সময়ে বৈদড়া চেকপোস্ট এলাকার জাতীয় সড়কে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে যান নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হচ্ছে। এলাকায় স্থায়ী পুলিশক্যাম্প বসানো যায় কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে জেলাজুড়ে জাতীয় সড়কের ধারে বেআইনি জবরদখল উচ্ছেদ করার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
স্থানীয় জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য মোশারফ হোসেনের দাবি, জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা রুখতে ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে গত দেড়বছর ধরে তিনি দফায় দফায় বাসিন্দাদের নিয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বৈদড়া চেকপোস্ট থেকে ইটাহার থানা ১৬ কিলোমিটার দূরে। তাই প্রশিক্ষিত পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে জাতীয় সড়কে সর্বক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে একটি স্থায়ী পুলিশক্যাম্প বসানোরও জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আমরা একাধিকবার দাবি জানিয়েছিলাম। পুলিশ সেই দাবি মেনে নিলে এ দিন এতবড় দুর্ঘটনা ঘটত না।’’