E-Paper

সিকিম থেকে ফের কলকাতা-দিল্লি বিমান চালুর সিদ্ধান্ত

বেসরকারি বিমান সংস্থা ১৫ মার্চ থেকে দিল্লি ও কলকাতার বিমান পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া’-কে (এএআই) বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:০৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

মার্চ মাস থেকে ফের কলকাতা ও দিল্লির সঙ্গে বিমান-যোগে জুড়তে চলেছে সিকিম। সরকারি সূত্রের খবর, একাধিক প্রযুক্তিগত সমস্যার জেরে, গত বছর সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়। গত অক্টোবরে সিকিমে দক্ষিণ লোনাক হ্রদে জলস্ফীতি এবং তিস্তা নদীতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ে ওই বিমানবন্দরে। কম্পন এবং বিপর্যয়ে পাহাড়ের মাথায় থাকা বিমানবন্দরের ৫০ মিটারের মতো ‘গার্ডওয়াল’ ভেঙে পড়ে। ৪২ মিটার উচ্চতার দেওয়ালটি নতুন
করে তৈরি হচ্ছে।

তবে ফের একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ১৫ মার্চ থেকে দিল্লি ও কলকাতার বিমান পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া’-কে (এএআই) বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিমান পরিষেবার পাশাপাশি, সিকিমের গ্যাংটক লাগোয়া বুরটুক হেলিপ্যাড থেকে ২৬ আসনের হেলিকপ্টার পরিষেবাও ৬ মার্চ শুরু হচ্ছে। এমআই-১৭ হেলিকপ্টারটি পর্যটন ক্ষেত্র এবং বিপর্যয়ের সময় কাজে লাগানোর জন্য সিকিম সরকার চালু করছে। ‘এএআই’-এর পাকিয়ং বিমানবন্দরের অধিকর্তা আর কে গ্রোভার বলেন, ‘‘আগামী ১৫ মার্চ থেকে দিল্লি ও কলকাতার দু’টি বিমান চালু হচ্ছে। গরমের সিকিমের পর্যটন মরশুমের জন্য বড় খবর।’’ তিনি জানান, সিকিম সরকারের পরিবহণ দফতরের তরফে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হচ্ছে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিকিমের প্রথম বিমানবন্দর পাকিয়ং বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন। পাহাড়ের মাথায় ২০১ একর জমির উপরে প্রায় ৫৬১ কোটি টাকা খরচ করে বিমানবন্দরটি তৈরি হয়েছিল। সে বছরই অক্টোবর থেকে কলকাতা, দিল্লি ও গুয়াহাটির সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু হয়। কম খরচের উড়ান পরিষেবা দিয়েই সিকিমের একমাত্র বিমানবন্দরটি চলছিল। করোনা-কালে বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়। ২০২১ সালেও বিমান চলাচল নিয়ে হোঁচট খায় সিকিম। ২০২২ সালে পাকিয়ং বিমানবন্দর থেকে উড়ান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বেসরকারি বিমান সংস্থাটি। বন্ধের কারণ হিসাবে প্রযুক্তি এবং পরিচালনাগত প্রয়োজনীয়তার দিক উঠে আসে।

রানওয়ের কিছু অসুবিধার সঙ্গে সঙ্গে দুপুরের পরে আলো কমে গেলে বিমান ওঠানামা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। শেষে দিল্লির অনুমোদনের পরে, ‘রুট ন্যাভিগেশন প্রোসিডিওর’ বা ‘আরএনপি’ পদ্ধতিতে বিমান নামা-ওঠার কাজ শুরু হয়। নতুন করে বিমান চালু হয়।
পরে, আবার তা বন্ধ হয়। শেষে অক্টোবর থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দরটি। মার্চে নতুন করে বিমান চালু হতে চলে চলেছে। পর্যটন সংগঠন ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘সিকিমের বিমান পরিষেবা নিয়মিত জারি থাকাটা জরুরি। পর্যটনে, যা অত্যন্ত সহায়ক। বিমান পরিষেবা যাতে টানা চালু থাকে, সিকিম সরকারকে তা সুনিশ্চিত
করতে হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Pakyong Airport

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy