আগামী ২২ জুলাই এর পর থেকে হেলমেটবিহীন মোটর বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন। মঙ্গলবার একটি প্রশাসনির বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন ইসলামপুরের মহকুমা শাসক সেরিং ওয়াই ভুটিয়া।
‘সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ’ নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই ক্ষেত্রে ‘নো হেলমেট নো পেট্রোল’ চালু হয়েছে রাজ্য জুড়েই। হেলমেট নিয়েই এ দিন প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মহকুমা শাসক। এ দিন মহকুমা শাসক দফতরের বিবেকানন্দ সভাগৃহে সেই বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন এসডিপিও বৈভব তেওয়ারি, আইসি সুকুমার ঘোষ-সহ বিভিন্ন পাম্পের মালিক ও বাইক বিক্রেতারা।
প্রশাসনের সূত্রে খবর, ইসলামপুর শহরের হেলমেট ছাড়া পেট্রোল যাতে না দেওয়া হয়, সেই বিষয়গুলি পাম্পের কর্মীদের বুঝিয়ে বলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলগুলিতে গিয়েও সচেতনতা বাড়ানোর মতো শিবির করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসলামপুর শহরে হেলমেটবিহীন বাইক আরোহীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেক ক্ষেত্রেই বাবা তাঁর সন্তানকে হেলমেট ছাড়া স্কুলে নিয়ে আসেন। বাচ্চারা যদি এ বারে চাপ দিতে শুরু করে তবে অনেক বাবাই নিজে হেলমেট পরতে বাধ্য হবেন। সন্তানকেও হেলমেট পরাবেন। এমনটাই মনে করছে প্রশাসন।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারি কর্মচারী থেকে পুলিশকর্মী হেলমেটবিহীন অবস্থায় দেখা যায় অনেককেই। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারিতে ফাঁক রয়েছে। তাই এটা সম্ভব হচ্ছে।
তবে ইতিমধ্যেই এ সবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন। মহকুমা শাসক সেরিং ওয়াই ভুটিয়া জানিয়েছেন, কয়েক দিন এলাকায় সচেতনতা বাড়ানো হবে। এলাকার স্কুলগুলিতেও সচেতনতা শিবির করা হবে, যাতে ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে তাদের পরিবারের লোকেদের কাছে বার্তাটি পৌছানো হয়।
মহকুমা শাসক বলেন, পাম্পের মালিকদের বলা হয়েছে, পাম্পে তেল নিতে এলে তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে দিতে। তবে প্রথমে সচেতনতা শিবির করেই এলাকার মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলবে। আগামী ২২ জুলাইয়ের পর থেকে হেলমেটবিহীন বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু হবে। অপর দিকে ইসলামপুর থানাতেও পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও প্রত্যেককেই হেলমেট পরে মোটরবাইক চালানোর নির্দেশ দেন ইসলামপুর থানার আইসি সুকুমার ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy